সৌরবিকিরণ, সৌরবায়ু থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করত চাঁদ! জানালো নাসা

একসময় সূর্যের তীব্র বিকিরণ থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করত চাঁদ। নাসার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা এই খবর দিয়েছে। গবেষকদের কথায়, সাড়ে ৪০০ কোটি বছর আগে এমন হতো। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’-এ।

সেই সময় চাঁদ পৃথিবীর অনেক কাছে ছিল। এখন ২ লক্ষ ৩৮ হাজার মাইল দূরে রয়েছে চাঁদ। তখন এর তিন ভাগের এক ভাগ দূরে ছিল চাঁদ। পৃথিবী থেকে দূরত্ব ছিল মাত্র ৮০ হাজার মাইল। সূর্যের থেকে আকারে ছোট চাঁদ। তাও সূর্যের বিকিরণের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচাত। কারণ চাঁদের আকার ছোট হলেও ছিল নিজস্ব চৌম্বক ক্ষেত্র। পৃথিবীর সঙ্গে তার চৌম্বক ক্ষেত্র ভাগাভাগি করত। তখন পৃথিবীতে প্রাণের জন্ম হয়নি। সূর্যের সৌরবিকিরণ আর সৌরবায়ুর ঝাপ্‌টা তখন আরও বেশি ভয়ঙ্কর। সৌরবিকিরণের জেরে সেই সময় পৃথিবীর পরিবেশে কোনও প্রাণের জন্ম নেওয়াই সম্ভব নয়।

নাসার চিফ সায়েন্টিস্ট জিম গ্রিন জানিয়েছেন, “তখনও পৃথিবীতে প্রাণের জন্ম হয়নি। ফলে, প্রাণ সরাসরি উপকৃত হওয়ার সুযোগ পায়নি। কিন্তু পরোক্ষভাবে উপকৃত হয়েছিল। তবে চাঁদ সূর্যের তাপ আর ভয়ঙ্কর সৌর বিকিরণের হাত থেকে পৃথিবীকে বাঁচিয়ে ছিল। চাঁদ তার নিজের চৌম্বক ক্ষেত্রকে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়ে সূর্যের যাবতীয় কোপের হাত থেকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে বাঁচিয়েছিল। আর তা না হলে এখন যা মঙ্গল, শুক্র,বুধ গ্রহের যে দশা হয়েছে সেই অবস্থা পৃথিবীরও হতো। বায়ুমণ্ডল না থাকলে প্রাণের জন্ম সম্ভবই হতো না পৃথিবীতে।”

পৃথিবীও বাঁচিয়েছিল চাঁদের বায়ুমণ্ডল। আজ থেকে দেড়শো কোটি বছর আগেই চাঁদের যেটুকু বায়ুমণ্ডল ছিল তার প্রায় পুরোটাই উবে গিয়েছিল সূর্যের বিকিরণে। লোপ পেয়েছিল তার চৌম্বক ক্ষেত্রও।

আরও পড়ুন-লাদাখের তীব্র ঠান্ডায় বেসামাল লালফৌজ, বেঘোরে মারা পড়ছে চিনের জওয়ানরা

Previous articleদুর্গাপুজোয় ৬ দিন বন্ধ থাকবে হিলি বন্দরের আমদানি-রফতানি
Next articleধর্ষণের পর সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে, মা-ছেলে কারাগারে