সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে একাধিকবার দেশকে রক্ষা করেছেন তিনি। কখনও লড়াই করেছেন একা। কখনও সেই লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন তাঁর পরিবার। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ের সাফল্যে শৌর্য চক্র পেয়েছিলেন পাঞ্জাবের বলবিন্দর সিং। নিজের বাড়ির সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হলো বলবিন্দরের।

জানা গিয়েছে, দুই ব্যক্তি বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গুলি করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বলবিন্দরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বলবিন্দর সিংয়ের শরীরে ৫টি বুলেটের ক্ষত চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পাঞ্জাবের তার্ন তারান জেলায় বাড়ি বলবিন্দরের। বরাবরই সন্ত্রাসবাদীদের নিশানায় ছিলেন বলবিন্দর। তাঁর বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষীও মোতায়েন রেখেছিল রাজ্য পুলিশ। কিন্তু কয়েক মাস আগে সেই নিরাপত্তা তুলে নেয় প্রশাসন। সেই ‘সুযোগ’কে কাজে লাগিয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। একটি স্কুল আছে তাঁর। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে দুই ব্যক্তি। দরজা খুলেই গুলি চালাতে শুরু করে তারা। এরপর বাড়ির ছাদ পর্যন্ত বলবিন্দরকে ধাওয়া করে তারা। পুলিশ সুপার ধ্রুমান নিমবালে জানিয়েছেন, এফআইআর দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বরে ২০০ জন সন্ত্রাসবাদীর সঙ্গে লড়াই করেন বলবিন্দর। এই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী, ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। সরকারের দেওয়া স্টেনগান এবং পিস্তল নিয়ে লড়াইয়ে নামেন বলবিন্দর সহ তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ওই সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ছিল আধুনিক অস্ত্র থাকলেও শেষমেষ পিছু হটতে বাধ্য হয় তারা। প্রায় ৫ঘণ্টা লড়াই করে প্রাণে বাঁচে সিং পরিবার। সে কারণেই শৌর্য চক্র পুরস্কার পান বলবিন্দর।
আরও পড়ুন:‘কেউ গুলি চালাবে না বেটা’, মানবতা দিয়ে জঙ্গিকে আত্মসমর্পণ করালেন সেনা অফিসার
