ফের করোনা বিপদের ভয় বাড়ছে ইতালিতে, চাপছে বিধিনিষেধ

করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঝাপটা আসতে চলেছে ইউরোপে। এখন যা পরিস্থিতি তাতে নতুন করে বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখছে ইতালি। বাদ নেই ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মানি, বেলজিয়ামের মত দেশও। এর আগে একবার করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুমিছিলের ভয়াবহ অধ্যায় পার করেছে ইতালি। সেখানে এখন আবার শঙ্কার মেঘ ঘনাচ্ছে। রোজই বাড়ছে সংক্রমণ। শীত বাড়তে থাকলে অবস্থা আরও উদ্বেগজনক হবে বলে পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। দুর্দিনের আতঙ্ক ফিরিয়ে এনে শনি ও রবি রেকর্ড সংক্রমণ দেখা গিয়েছে ইতালিতে। শনিবার সংক্রমণের সংখ্যা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বাধিক, প্রায় ১১ হাজার। এই পরিস্থিতিতে কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন বিধিনিষেধ ঘোষণা করতে চলেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে।

তবে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় বিশ্বের বহু দেশই আর পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের পথে হাঁটতে চাইছে না। পরিবর্তে বিধিনিষেধ কঠোর করার কথা বলা হচ্ছে। যদিও ইতালির সরকারি সূত্রের বক্তব্য, সংক্রমণ এই গতিতে বাড়তে থাকলে গতবারের মত বিপর্যয় এড়াতে অর্থনৈতিক ক্ষতি স্বীকার করেও হয়তো লকডাউনের পথে হাঁটা হতে পারে। ইতিমধ্যেই সংক্রমণ আটকাতে বাড়ির বাইরে মাস্ক ব্যবহার প্রায় সব দেশই বাধ্যমূলক করতে চাইছে। নিয়ম কঠোর করতে বড় অঙ্কের জরিমানার শাস্তি বলবৎ করেছে অনেক দেশ। তবে সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে সামাজিক দূরত্ব বিধি না মানার সমস্যা সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। ইতালিতে প্রথমবারের করোনা ধাক্কায় মারা গিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে ছত্রিশ হাজার মানুষ। করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামাল দেওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।

আরও পড়ুন:হংকং ইস্যুতে কানাডাকে হুঁশিয়ারি চিনের, পাল্টা বিবৃতিতে কোণঠাসা জিনপিং

Previous articleনেতাইতেও বেসুরো, কোন পথে যাচ্ছেন শুভেন্দু?
Next articleজম্মু-কাশ্মীরকে চিনের অংশ হিসেবে দেখাল টুইটার, ক্ষুব্ধ নেটিজেনরা