বাংলা শিক্ষা পোর্টাল থেকে বঞ্চিত মাদ্রাসা! কাঠগড়ায় স্কুল পরিদর্শক

রাজ্যের সরকারি, সরকার পোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাংলা শিক্ষা পোর্টাল অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বিকাশ ভবন। কিন্তু এই তালিকায় নেই রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি। অভিযোগ, মাদ্রাসাগুলি যাবতীয় তথ্য দিয়ে ডি আই তথা স্কুল পরিদর্শকদের দিলেও পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তাঁরা। অন্যদিকে স্কুল পরিদর্শকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন। তাঁর দাবি, দুর্নীতি ঢাকতে পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত হতে চাইছে না মাদ্রাসাগুলি।

কী থাকে ওই পোর্টালে? সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল পোর্টালে ঢুকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। পোর্টালে ঢোকার জন্য স্কুল পরিদর্শকের থেকে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড নিতে হবে। এরপর পোর্টালে গিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করতে হবে। বর্তমানে কত পড়ুয়া রয়েছে, শিক্ষক সংখ্যা কত, সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শূন্য পদের সংখ্যা আপলোড করতে হবে পোর্টালে। ছাত্র-ছাত্রীদের মার্কশিট থেকে ট্রান্সফার সার্টিফিকেট, শিক্ষকদের এনওসি সবই এই পোর্টাল থেকে নিতে হবে।

রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ থেকে অবশ্য কোনও সুবিধা নিতে পারছে না রাজ্যের মাদ্রাসাগুলি। অভিযোগ এমনটাই। মাদ্রাসাগুলির অভিযোগ, এই নিয়ে স্কুল পরিদর্শকের সঙ্গে দেখাও করা হয়েছে। একাধিকবার স্কুল পরিদর্শকদের কাছে আবেদন জানিয়ে কোনো সুরাহা মেলেনি। কিন্তু রাজ্য সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, ওই পোর্টালে মাদ্রাসাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সে নির্দেশিকাও সব স্কুল পরিদর্শককে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু একাধিক শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, নির্দেশ সত্বেও পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না।

যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন। তাঁর বক্তব্য, স্কুল পরিদর্শকদের কোনও দোষ নেই। এই অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসাগুলিকে দায়ী করেছেন তিনি। দুর্নীতি ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে তারা পোর্টালে অন্তর্ভুক্তি চাইছে না। এই বিষয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কামাল হোসেন বলেন, ” মাদ্রাসাতে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও ধর্মের ছেলে মেয়েরা পড়ে না। এই বিষয়ে আমি শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলব। মুখ্যমন্ত্রী সময় দিলে তাঁর সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা বলতে পারি। ইতিমধ্যেই অসমে মাদ্রাসাগুলি অবলুপ্তির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। নভেম্বর মাসে এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে মাদ্রাসার অস্তিত্ব বজায় রাখতেই হবে।”

আরও পড়ুন:তুঙ্গে মাধ্যমিকের প্রস্তুতি! ছুটি বাতিল পর্ষদের কর্মীদের

Previous articleশিশু পর্নোগ্রাফি; গ্রেফতার তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া
Next articleবন্যাকবলিত তেলেঙ্গানার পাশে মমতা, বাংলার তরফে ত্রাণ তহবিলে দু’কোটি টাকা