কোভিড বিধি মেনেই পুজোর আয়োজন সাউথ মাদ্রাস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের

জাঁকজমকপূর্ণ নয়, সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলতি বছর দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছে সাউথ মাদ্রাস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। ৪২ তম দুর্গাপুজো নিয়ে অনেক পরিকল্পনা থাকলেও কোভিড সেসব ম্লান করে দিয়েছে। তাই এবছর কলকাতা থেকে সুদূর চেন্নাইয়ে পাড়ি দিয়েছে ছোট দুর্গা মূর্তি। এবার সেই মূর্তিতেই দেবীর আরাধনা করবেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা।

সাউথ মাদ্রাস কালচার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ মিত্র জানান, “আজ, পঞ্চমীতে বোধন হবে। এবারের পুজো অনেক বিধিনিষেধ মেনে করা হচ্ছে। ভেবেছিলাম চেন্নাই কনভেনশন সেন্টারে পুজোর আয়োজন করা হবে। সরকারের নির্দেশিকা পেয়ে সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করি। ঠিক হয় পুজোতে কোনওরকম আড়ম্বর থাকবে না। যেখানে পুজো হচ্ছে সেখানে পুরোহিত এবং দু-তিনজন ভলেন্টিয়ার ছাড়া আর কেউ উপস্থিত থাকতে পারবেন না।”

তবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই পুজোর আস্বাদ নেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সুদীপ মিত্র। পুজো, পুষ্পাঞ্জলি, আরতী ফেসবুক, ইউটিউব এবং সাউথ মাদ্রাস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। এমনকী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে। প্রতিবছর কুড়ি হাজার বর্গফুটের প্যান্ডেল হয়। পুজোর পাশাপাশি থাকে কর্পোরেট স্টল। একই সঙ্গে থাকে খাবারের স্টল। পুজোর প্রত্যেকদিন বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। প্রতিবছর ১২০০ থেকে ২ হাজার মানুষের জন্য ভোগের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু এবছর থাকছে না ভোগ বিতরণ বা প্রসাদ বিতরণ।

দুর্গাপুজোর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত থাকে সাউথ মাদ্রাস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। বিভিন্ন অনাথ আশ্রম, বৃদ্ধাশ্রমে সাহায্য করেন তারা। এমনকী পুজোর সময় যে ভোগ হয়, তা দেওয়া হয় কোনও না কোনও আশ্রমে। অনলাইন ক্লাস করার জন্য বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে দেওয়া হয়েছে স্মার্ট ফোন। শুধু তাই নয়, চেন্নাই বসে আমফান বিধ্বস্ত বাংলার পাশে দাঁড়িয়েছিল তারা। পুজোর সময় যে টাকা পাওয়া যায়, তা দিয়েই সামাজিক কাজ করে সাউথ মাদ্রাস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। উদ্যোক্তারা আশাবাদী, পরের বছর নিশ্চয়ই চেনা ছন্দে ফিরবে দুর্গাপুজো।

আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া শাড়ি পড়েই অঞ্জলি দেবেন ঐন্দ্রিলা

Previous articleগুগলের বিরুদ্ধে বড়সড় মামলা ট্রাম্প প্রশাসনের! কিন্তু কেন?
Next articleপুজোয় চলবে না অতিরিক্ত মেট্রো, হাইকোর্টের রায়ের পর সিদ্ধান্ত