‘মধ্যিখানে মধ্যবিত্ত’, করোনা ও পুজোর মাঝে ফের মানুষের দুর্দশার কথা শোনালেন রুদ্র

‘দাদা আমি সাতে পাঁচে থাকি না!’ এভাবেই করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর দুর্দশার কথা তুলে ধরেছিলেন রুদ্রনীল। কবিতার নাম ছিল ‘ভালো আছি, ইতি মধ্যবিত্ত’। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল রুদ্রনীলের পাঠ করা সেই কবিতার ভিডিও। দীর্ঘ বিরতির পর ফের মধ্যবিত্তের হয়ে কলম ধরলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। করোনা ও পুজোর আবহে লিখে ফেললেন আরও এক কবিতা ‘মধ্যিখানে মধ্যবিত্ত’। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে রুদ্রনীলের এই কবিতা। যেখানে করোনা পরিস্থিতি, দুর্গাপুজো, হাইকোর্টের নো-এন্ট্রির সঙ্গে ফুটে উঠেছে মধ্যবিত্ত বাঙালির এক করুণ মুখের ছবি।

আরও পড়ুন: “আনন্দ হোক সামাজিক দূরত্ব মেনে, দূর হোক করোনা”! শহরবাসীকে বার্তা ববির

সম্প্রতি শহরের দূর্গা মন্ডপ গুলিতে নো এন্ট্রি লাগানোর নির্দেশিকা জারি করেছে হাইকোর্ট। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। শহরজুড়ে আবেগ বনাম অসুখের যে দ্বন্দ্ব চলছে সেই দ্বন্দ্বের মাঝে পড়ে রুদ্রর কবিতায় উঠে এসেছে মধ্যবিত্ত বাঙালির দুর্দশা। করোনা পরিস্থিতিতে অর্ধেক বেতনে জীবন কাটানো মধ্যবিত্তের এ বছর পুজোয় জোটেনি বোনাস। পরিবারকে খুশি করতে তাই ধার হয়ে গিয়েছে পুজোয়। কবিতার ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে, মুখ বুজে হাসির মুখোশ পরে দিন কাটানো সেই মানুষগুলোর কথা। পেটের টানে কিভাবে তারা করোনা ভীতি উড়িয়ে বাদুড়ঝোলা বাসে যাতায়াত করছে নিত্যদিন। শিকেয় উঠেছে সামাজিক দূরত্ব। রুদ্রর কথায়, সব জেনে বুঝেও, মানুষের এহেন অসচেতনতার মূল কারণ শূন্য পকেট। পাশাপাশি অনিশ্চয়তার এই দুর্গোৎসব প্রসঙ্গে রুদ্র আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট যদি রায়টা আগেই দিত, বেঁচে যেত টাকা টিকে যেত সংসার।’

শুনুন রুদ্রনীল ঘোষের পাঠ করা সেই কবিতা…

Previous articleসরকারের পদত্যাগের দাবি ‘মামা বাড়ির আবদার’: কাদের
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ