মন খারাপ, তাই পুজোর কোনও প্ল্যান করিনি, জানালেন অরুণিমা

- অরুণিমা ঘোষ, অভিনেত্রী

আমার বাড়ির নীচেই পুজো হয়। সেখানেই যাব, মায়ের দর্শন করে আসব। তবে অঞ্জলি দেব কীনা, সেটা ঠিক নেই। কারণ আমি কোন রকম ভিড় জায়গায় যাচ্ছিই না। আর তা ছাড়া, আমি বাড়ি থেকে এমনিতেও বেরোই না। আর এইবছর তো আরোই বেরোবো না। তাই, কোনও প্ল্যান বানাইনি। আর বাড়িতেও, সেরকম গেট টুগেদার হবে না।

এটা ঠিক যে পুজোটা বছরে একবারই আসে। এই কয়েকদিনের জন্য আমরা সব ভুলে আনন্দ করার সুযোগ পাই। কিন্তু এটাও মাথায় রাখা দরকার, যে পুজো পরবর্তী সময়ে এই পরিস্থিতি যেন বাড়াবাড়ি রকমের না হয়ে যায়। প্রায়ই খবরে দেখি, বাড়াবাড়ি রকমের সংক্রমণ শুরু হয়েছে। বর্তমানে এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই জরুরি। মানুষের প্রাণ বাঁচলে, তবেই তো পুজোর মজা হুল্লোড় সব হবে, তাইনা।

আরও পড়ুন : মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া শাড়ি পড়েই অঞ্জলি দেবেন ঐন্দ্রিলা

একটাই তো মাত্র বছর। এই বছরটা একটু সংযত থাকলে পরের বছর আবারও ভালো করে পুজো হবে। হই, হুল্লোড়, মজা, আনন্দ সব হবে। সত্যিই, এবছর মনটা খুব খারাপ। সব কিছুই কন যেন খাপছাড়া। এই তো দেখো না, অন্যান্য বার, এই পুজোর সময় প্রচুর চাপ থাকে কাজের। সেখানে এই বছর আমি মাত্র তিনটে ছোট ছোট ইভেন্ট করেছি। বেশিরভাগ কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি। কারণ, আমার সত্যিই কোথাও যেতে কেমন একটা ভয় লাগছে। ভিড় দেখলেই ভয় লাগছে।

এবছর পুজোয় বেরোবো না বলে কিছু কিনিওনি। কেনাকাটি করার ইচ্ছাটাও যেন এবার আর নেই। তবে তবে আশা করছি, পরের বছর সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আবার ভালো করে পুজো হবে। আবার সবাই মজা করে ঠাকুর দেখব। তাই, সবাইকে বলছি, সাবধানে থাকবেন পুজোর এই কয়েকটা দিন। বেশি ভিড় জায়গায় যাবেন না। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

আরও পড়ুন : করোনা আবহে পুজো নিয়ে কী কথা লিখলেন শ্রীজাত?

Previous articleপড়ুয়াদের নেতৃত্বে গণবিক্ষোভের জেরে উত্তাল থাইল্যান্ড, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার প্রশাসনের
Next article‘কলকাতাশ্রী ২০২০’ পুজো প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ পুরসভার