পড়ুয়াদের নেতৃত্বে গণবিক্ষোভের জেরে উত্তাল থাইল্যান্ড, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার প্রশাসনের

Thailand Prime Minister offers to lift emergency as thousands protest in capital.

থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের অবসান ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে রাস্তায় নেমে পড়ুয়াদের নেতৃত্বে হওয়া গণবিক্ষোভের জেরে পিছু হটল থাইল্যান্ড প্রশাসন। কোভিড পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে এই বিক্ষোভ চলছে। এরইমধ্যে একমাসব্যাপী জরুরি অবস্থার নির্দেশ প্রত্যাহার করল প্রশাসন। এছাড়াও থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের কাছে এই আন্দোলন তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ড সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তাতে জানানো হয়, ক্রমশ শান্তিশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ায় ব্যাংককে একমাসের জন্য জারি করা হয়েছিল জরুরি অবস্থা। তবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কোনওভাবে যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয় তার দিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছেও শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।

আটদিন আগে থাইল্যান্ডে রাজতন্ত্রের সংস্কার এবং প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা-কে অপসারণের দাবিতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে তীব্র বিক্ষোভ শুরু। সে দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলছে আন্দোলন। সেখানে আন্দোলনের জেরে উত্তাল পরিস্থিতির বেশ কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় থাই প্রশাসন একটি ফেসবুক পেজও বন্ধ করে দেয়। পাশাপাশি অবস্থা ক্রমশ খারাপ দিকে এগোনোর কারণে চারটি সংবাদ সংস্থাকে বন্ধ করে দেয় থাইল্যান্ডের প্রশাসন।

তারপরেও পড়ুয়াদের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলন খারাপের দিকে এগোনোর কারণে জরুরি অবস্থা জারি করে সরকার। কিন্তু, এই নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই ব্যাংককের একটি ব্যস্ত মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে ব্যাংকক কার্যত অচল হয়ে পড়ে। এরপরই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।

বুধবার সেখানকার এক সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা জানান, “এই বিক্ষোভের ফলে থাইল্যান্ডের ক্ষতি হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা যদি সহিংসতা বন্ধ করে তবে আমি এখনই জরুরি অবস্থা তুলে নেব। এই প্রস্তাব দিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার পথে আমি এগিয়ে এলাম। এবার আপনারাও এগিয়ে আসুন। বিক্ষোভ বন্ধ করুন।”

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সাল থেকে থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালাংকর্ণ দেশের ক্ষমতায় রয়েছে। তবে তিনি বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন জার্মানিতে। সেখানে তাঁর বিলাসিতার ছবি থাইল্যান্ডের মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটিয়েছিল। তিন মাস আগে পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠানের সময় ওই রাজ পরিবারের এক সদস্যের গাড়িকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। এরপর থেকেই রাজার ক্ষমতা কমানো ও প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন-শত্রুকে বার্তা দিয়ে পোখরানে সফল উৎক্ষেপণ ‘নাগ অ্যান্টি-ট্যাংক গাইডেড’ মিসাইলের

Previous articleকোভিডের কোপ মুখোশের গ্রামে, বরাত না পেয়ে মনখারাপ চড়িদার
Next articleমন খারাপ, তাই পুজোর কোনও প্ল্যান করিনি, জানালেন অরুণিমা