রোবটের বাড়বাড়ন্তে চাকরি হারাবেন ৮৫ মিলিয়ন কর্মী, ভয়াবহ রিপোর্ট সমীক্ষায়

ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে কর্মী ছাঁটাইয়ের হিড়িক পড়েছে। দেশ তথা বিশ্বে চাকরি খুইয়েছেন কোটি কোটি মানুষ। তবে পরিস্থিতি এখানেই শেষ হয়ে যায়নি। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-এর সমীক্ষায় যে রিপোর্ট উঠে এসেছে তা আরও ভয়াবহ। এই সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, করোনা অতিমারি বিশ্বব্যাপী কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দিয়েছে। বেড়েছে কর্মক্ষেত্রে রোবটের প্রাদুর্ভাব। আর এই রোবটের কারণেই ৮৫ মিলিয়ন কর্মীর চাকরি ধ্বংস হতে চলেছে।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম-এর সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ‘করোনা মহামারীর কারণে ভবিষ্যতের কাজ এগিয়ে এসেছে। যার ফলে সময় কমে গিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে বিশ্বজুড়ে ব্যবসা চালানো কমপক্ষে ৩০০টি সংস্থা ডিজিটাল কর্মপদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছে। পাশাপাশি নতুন প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে নিজেদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চাকরিতে বহাল থাকার জন্য আগামী পাঁচ বছরে নতুন একাধিক স্কিল শিখতে হবে কর্মীদের।

সমীক্ষাতে দাবি করা হয়েছে, বেশিরভাগ সংস্থায় কর্মীর মাধ্যমে ডাটা এন্ট্রি করার পরিবর্তে প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকে পড়েছে তারা। এর ফল দাঁড়িয়েছে নতুন চাকরির সৃষ্টি কমছে এবং ক্রমাগতভাবে ধ্বংস হচ্ছে চাকরি ক্ষেত্র। তবে এসব কিছুর মাঝেও কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে ওই সমীক্ষা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির বাজার কম হলেও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মত শিল্পে ৯৭ মিলিয়ন নতুন চাকরির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ওই সংস্থার দাবি, সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকবেন মাঝারী স্তরের কর্মচারীরা। এর কারণ ৪৩ শতাংশ সংস্থা তাদের কর্মশক্তি হ্রাস করবে।

আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে জুতোর সম্ভার নিয়ে হাজির খাদি

এদিকে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এই প্রতিবেদনটি এমন সময় উঠে এলো যখন চাকরির বাজারে রীতিমতো হাহাকার নেমেছে। ভারতবর্ষের মত মাটিতে চাকরি খুঁইয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। আমেরিকারও হাল একই। আমেরিকার শ্রমবিভাগ-এর তথ্য অনুযায়ী ক্রমশ সেখানে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে চলেছে এবং সরকারি সুবিধা পেতে আবেদন করছেন বহু মানুষ।

Previous articleউৎসবের মরশুমে জুতোর সম্ভার নিয়ে হাজির খাদি
Next articleমোদি আর বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক লেখা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের