বাম-কংগ্রেস জোটের ‘প্রোজেক্টেড’ মুখ্যমন্ত্রী অধীর চৌধুরী?

মুখ্যমন্ত্রী অধীর চৌধুরী? ২০২১-এর ভোটে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রোজেক্টেড মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন অধীর চৌধুরী। এ ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে কথা হয়েছে কংগ্রেস মহলে। সেখানে অলিখিত শিলমোহর পড়েছে বলে খবর। এবার আলোচনা বামেদের সঙ্গে। পুজো মিটলেই বামেদের সঙ্গে বৈঠক। সেখানেই এই প্রস্তাব দিয়ে ভাবী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তুলে ধরা হতে পারে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে।

২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়। উত্থান হয় বিজেপির। তারাই এখন প্রধান বিরোধী দলের দাবিদার। কিন্তু অধীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সাফ ঘোষণা, বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সূচাগ্র মেদিনী। ওয়াক ওভার দেওয়ার প্রশ্ন নেই। বামেরা বেঁকে না বসলে লড়াই ত্রিমুখী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

কংগ্রেসের যুক্তি, মানুষ এখন ‘মুখ’ চাইছে। তৃণমূল কংগ্রেসে তা পরিষ্কার। বিজেপিতে সে নিয়ে দ্বন্দ্ব। বাম-কংগ্রেস যদি কোনও মুখকে সামনে রাখে তাহলে লড়াই হয় সমানে সমানে। তাছাড়া বামেদের এই মুহূর্তে প্রোজেক্টেড মুখ্যমন্ত্রী করার মতো মুখই নেই। অথচ অধীর শুধু এখন রাজ্য নয়, গোটা দেশের নেতা। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা। লড়াকু নেতা। বিশ্বাস্যোগ্য মুখ।

আর সেক্ষেত্রে কংগ্রেস কত আসনে প্রার্থী দিতে পারে? কংগ্রেস মহলে দাবি প্রার্থী দেওয়া হোক ১৪৫-১৫৫টি আসনে। বাকি ১৪০টি আসনে বামেরা।

গতবার বাম-কংগ্রেস জোট হয়নি। শেষ মুহূর্তে ভেস্তে দেন বিমান বসুরা। বহু জায়গায় বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হয়। লাভ হয় তৃণমূলের। এবার কংগ্রেস জোট করেই এগোতে চাইছে। আর জোট করলে দর কষাকষির পরিধিও বাড়ে। লোকসভা ভোটে রাজ্যে দুটি আসন জেতে কংগ্রেস। আর ৪২টির মধ্যে ৩৯টিতে লড়েও বামেদের ভাঁড়ার শূন্য। ফলে এবার কংগ্রেসের দাবি জোরদার হবে, এবং জোট রক্ষার্থে বামেদের তা মানতেই হবে বলে ধারণা কংগ্রেস মহলে।

আরও পড়ুন:শোভনকে পুজো-উপহার ‘দিদি’র, পাল্টা বিশেষ শাড়ি পাঠালেন বৈশাখী

Previous articleসাগর দত্ত ঠাকুর বাড়িতে মা পূজিত হন ‘অভয়ারূপে’
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ