মহাষ্টমীতে নিরন্ন শিশুদের অন্ন দিয়ে আনন্দে মাতলো এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী!

লকডাউনের আবহ কাটিয়ে যখন আনলকফেজের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা, তখন উৎসবের আনন্দে , পুজোর আনন্দে সবাই মাতোয়ারা। তখন এক ঝাঁক তরুণ তরুণীর এক ব্যতিক্রমী প্রয়াস নজর কাড়ল সবার। হ্যাঁ, বলা ভালো যারা সবেমাত্র কৈশোর পেরিয়ে নতুন পথে হাঁটতে শিখেছে, তাদের এই প্রচেষ্টা সত্যিই মনে রাখার মতো। নিশ্চয়ই ভাবছেন কাদের কথা বলছি?

আরও পড়ুন- করোনা ভ্যাকসিন পেতে প্রত্যেক ভারতবাসীর খরচ পড়বে ১৪৭ টাকা
আসলে কিশলয়, গার্গী, শুভার্থী, অভ্রনীল, ইন্দ্র, নমিতা একজোট হয়ে দিন কুড়ি আগে ঠিক করে উৎসবের আনন্দে নিরন্ন শিশুদের মুখে হাসি ফুটিয়ে তুলবে। তখন সবার আগে ওদের নাড়া দিয়েছিল একটাই কথা, ওদের মুখে অন্ন তুলে দিতে হবে। আর সেই লক্ষ্যেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাই মিলে কাজে নেমে পড়ে। বাবা-মার কাছে আবদার করে টাকার জন্য । অভিভাবকেরাও নিরাশ করেননি । যার নিট ফল, আজ মহাষ্টমীতে এক অসাধারণ মুহূর্তের সাক্ষী থাকলো সবাই। আগরপাড়া স্টেশন সংলগ্ন ৮০ জন শিশুর মুখে হাসি ফোটাতে দুপুরে তাদের হাতে ফ্রায়েড রাইস ও আলুর দম তুলে দিল তারা। প্রমাণ করে দিল  ইচ্ছা থাকলে , চেষ্টা থাকলে উপায় হয়।

সে এক আনন্দঘন মুহূর্ত । এমন খাবার তাদের জন্য অপেক্ষা করে আছে বোধহয় ভাবেনি এই শিশুরা । অথচ প্রচারের আলোয় নিভৃতে- নীরবে এক ঝাঁক তরুণ তরুণী ওই শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর শপথ নিয়ে পথ দেখাল। ওরাও তো পারতো শুধুই উৎসবের আনন্দে নিজেদের মতো উৎসবের আনন্দে গা ভাসাতে। তবু নিজেদের জমানো সামান্য অর্থও সবাই দিয়েছে ।
যখন অভ্রনীল আর কিশলয় একযোগে বলে, আমরা মানুষের পাশে থাকতে চাই। তখন ফের মনে পড়ে শিক্ষার আলোয় সমাজকে চেনা যায়।
শুভার্থী , নমিতা, গার্গী খুশি আজকের এই উৎসবের দিনে এই মহামারির মধ্যেও নিরন্ন শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে।

 

Previous article২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত মাত্র ১০৯৪, বাড়ছে সুস্থতার হার
Next articleভারত ভূখণ্ড বাদ দিয়ে পুরনো ম্যাপ ব্যবহার, দশেরার শুভেচ্ছায় চমক ওলির!