২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে করোনা আক্রান্ত মাত্র ১০৯৪, বাড়ছে সুস্থতার হার

খায়রুল আলম, ঢাকা: গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশ আরও ১ হাজার ৯৪ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছেন, যা গত তিন মাসে সবচেয়ে কম। ২ আগস্টের পর এত কম সংখ্যক রোগী আর শনাক্ত হয়নি। ২ আগস্ট ৮৮৬ রোগী শনাক্তের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে সেদিন মাত্র ৩ হাজার ৬৮৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল।

শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৯৯৮টি নমুনা। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা বিবেচনায় শনাক্ত রোগীর হার ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এখনও পর্যন্ত মোট ২২ লাখ ৪৬ হাজার ৪৮৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সে হিসাবে শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শনিবার বিকালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নতুন শনাক্ত রোগীদের নিয়ে দেশে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৭ জন হল। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

২ আগস্টের আগে ১৬ মে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল হাজারের নিচে ছিল। সেদিন ৯৩০ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল। তারপর থেকে সংক্রমণের গতি বাড়ছিল। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৯ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৫ জন বেশি। নতুন ১৯ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৭৮০ জনে দাঁড়াল। এই সংখ্যা শনাক্ত মোট রোগীর ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাড়ি ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৪৯৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৩ জন হয়েছে। সুস্থতার হার ৭৮.৮৮ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে পুরুষ ১৭ জন, নারী ২ জন। তাদের প্রত্যেকেই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১০ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। ৩ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে এবং ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

মৃতদের মধ্যে ১৩ জন ঢাকা বিভাগের এবং ৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ১ জন খুলনা বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ৭৮০ জনের মধ্যে ৪ হাজার ৪৫২ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ৩২৮ জন নারী।

তাদের মধ্যে ২ হাজার ৯৯৮ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৫৩৮ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭২০ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩২০ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৩০ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

আরও পড়ুন: ইস্তফার নাটক চালালে বহিষ্কার, বুঝতে পেরে ঢুকে পড়লেন সৌমিত্র

মৃতদের মধ্যে ২ হাজার ৯৭৬ জন ঢাকা বিভাগের, ১১৫৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৬৯ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৬৩ জন খুলনা বিভাগের, ১৯৭ জন বরিশাল বিভাগের, ২৪১ জন সিলেট বিভাগের, ২৬০ জন রংপুর বিভাগের এবং ১২১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

Previous articleইস্তফার নাটক চালালে বহিষ্কার, বুঝতে পেরে ঢুকে পড়লেন সৌমিত্র
Next articleমহাষ্টমীতে নিরন্ন শিশুদের অন্ন দিয়ে আনন্দে মাতলো এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী!