পাড়ার ঠাকুর বিসর্জনে দেবী প্রণাম মহারাজ সৌরভের

এখনও করোনার গ্রাস থেকে মুক্ত হতে পারেনি। আবিষ্কার হয়নি কোনও প্রতিষেধক। তারই মাঝে সম্পন্ন হলো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। পুজোর চারটিদিনের জন্যই অপেক্ষা করে আপামর বাঙালি।

তবে মহামারী আবহে এবছরের পুজোটা একেবারেই ছিল অন্যরকম। নিউ নর্ম্যাল দুর্গাপুজো। মাস্কে ঢাকা মনমরা বাঙালির এবার দুর্গাপুজোয় বিশ্ব জননীর কাছে শুধুএকটাই প্রার্থনা, করোনা নামক অদৃশ্য অসুরের হাত থেকে মুক্তির প্রার্থন। শক্তির আরাধনায় একটাই আকুতি অসুররূপী করোনার বিনাশ হোক।

এদিকে, উৎসবের জৌলুস যতই থাকুক যতই কম থাক। যতই থাকুক অনাড়ম্বর, বাঙালি মন যেন কিছুতেই তা মানতে পারে না। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও বাঙালি। তাই বঙ্গ জীবনের এই অঙ্গটাকে তিনিও ছেড়ে থাকতে পারেননি। বেহালায় সৌরভ বাড়ির পাশেই হয় বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারের পুজো। বাড়ির সদস্যরা এই পুজোর সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে। মহারাজের পুজো নামেই পরিচিত বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারের এই পুজো। চতুর্থীতে পুজোর উদ্বোধন করেন সৌরভ নিজেই।

পুজোর মধ্যেই অষ্টমীর সকালে অঞ্জলির সময় বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারে পঞ্জাবি পরে মণ্ডপে হাজির হয়েছিলেন সকলের প্রিয় মহারাজ। যদিও সৌরভ অবশ্য এবার পুষ্পাঞ্জলি দেননি। সন্ধিপুজোর আরতি দেখে বেশ কিছুক্ষণ মণ্ডপে বসে আড্ডা দেন।

এবার উমার বিদায়কালেও বড়িশা প্লেয়ার্স কর্নারে, নিজের পাড়ার পুজোর বিসর্জনেও হাজির হন সৌরভ। দেবী প্রণাম করে আশীর্বাদও নিলেন মহারাজ।

আরও পড়ুন- ভূস্বর্গের জমি এবার হাতের মুঠোয়, বিজ্ঞপ্তি জারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

Previous articleভূস্বর্গের জমি এবার হাতের মুঠোয়, বিজ্ঞপ্তি জারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের
Next articleবাজির আগুনে ভস্মীভূত রামপুরহাটের পুজো মণ্ডপ