মহামারি আবহে বেসরকারি স্কুলগুলিকে ২০ শতাংশ ফি মকুবের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বেসরকারি স্কুল গুলি। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, হাইকোর্টের রায়কে বহাল রাখতে হবে। এপ্রিল থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে ফি নিয়ে হাইকোর্ট যে কমিটি তৈরি করছিল, সেই কমিটির কাজ স্থগিত রাখতে বলেছে আদালত।

গত ১৩ অক্টোবার হাইকোর্ট রায় দেয় কোনও নন অ্যাকাডেমিক ফি নেওয়া যাবে না পড়ুয়াদের থেকে। চলতি শিক্ষাবর্ষে ফি বাড়াতে পারবে না স্কুলগুলি। ১ এপ্রিল থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। মহামারি পর্ব শেষ হওয়া পর্যন্ত এই নিয়ম লাগু থাকবে বলে জানিয়েছিল আদালত। একইসঙ্গে এদিন ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেও যদি কেউ ফের ফি মকুব চান তবে ওই কমিটির কাছে আবেদন করা যাবে। কলকাতা সহ সংলগ্ন ১১২টি স্কুলে এই নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।


প্রসঙ্গত, লকডাউনের প্রথম পর্ব থেকে ফি মকুবের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অভিভাবকরা। কলকাতা সহ আশেপাশের অঞ্চলের বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের সামনে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। এরপর সেই জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। অভিভাবকদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে যেসব পরিষেবা পড়ুয়ারা পাচ্ছে না, সেই সব খাতে ফি মকুব করতে হবে। সমস্যা সমাধানের জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে আদালত। ইতিমধ্যে কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে হাইকোর্টে।

সব দিক বিবেচনা করে হাইকোর্ট ১১২টি বেসরকারি স্কুলকে ২০ শতাংশ ফি মকুবের নির্দেশ দিয়েছিল। আইনজীবী তিলক বোস, হেরিটেজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক, আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা আগরওয়ালকে নিয়ে ৩ সদস্যের কমিটি তৈরি করে আদালত। কোনও অভিভাবক যদি ২০ শতাংশের পরেও ফি মকুব চান, তাহলে এই কমিটির কাছে আবেদন করতে হবে।

