উত্তরবঙ্গে আনাজ-ফলের বাজারে আগুন, পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরি ছুঁইছুঁই

লক্ষ্মীপুজোর প্রাক্কালে উত্তরবঙ্গের সমতল ও পাহাড়ে শাক-সবজি, ফলের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। তাতে মাথায় হাত পড়েছে বাসিন্দাদের। প্রায় সব জেলাতেই ধনেপাতার দর পৌঁছেছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা প্রতি কেজি। সিম, পেঁয়াজকলি অল্প পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। তার কেজি প্রায় ৪০০ টাকা। শিলিগুড়ির কিছু এলাকায় পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছে। ১০০ টাকা কেজি পেঁয়াজ শুনে অনেকে আঁতকে উঠছেন।

বালুরঘাট জেলা সদরে আলুর দাম কেজি প্রতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। পেঁয়াজ ৮০-১০০ টাকা কেজি। কলা এক জনের দাম ৭০ টাকাও চাওয়া হচ্ছে। মালদহ শহরের অন্যতম রথবাড়ি সবজি মার্কেট। সেখানে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। আলুর দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকা। এক মুঠো মুলো শাকের দাম ২০ টাকা। আপেল, কলা, মুসুম্বি সবই গড় পরতায় ১২০-১৫০ টাকা কেজি।

শিলিগুড়িতে ফুলকপির কেজি প্রতি দাম ৮০-১২০ টাকা অবধি চাইছেন বিক্রেতারা। বাঁধাকপি ৭০-৮০ টাকা কেজি। কাঁচালঙ্কা ১৫০-১৮০ টাকা কেজি। শিলিগুড়িতে পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা কেজি দর হাঁকা হচ্ছে। বিধান মার্কেটের কয়েকজন বিক্রেতা তো পেঁয়াজের দর ১০০ টাকা কেজি দরও হাঁকছেন।

জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারেও আলুর দর কেজি প্রতি ৫০ টাকার আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছে। ফলের দাম তো যে যেমন পারছেন চাইছেন বলে অভিযোগ। ফুলকপি, বাঁধাকপির দর ওই তিন জেলায় ১২০-১৫০ টাকা কেজি ও ৭০-৮০ টাকা কেজিও চাওয়া হচ্ছে।

দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় স্বভাবতই সবজির দাম বেশি। তবে সেখানে স্থানীয় আলুর দাম ৪০ টাকা কেজি। লোকাল ফুলকপি, বাঁধাকপিও ১০০ টাকার মধ্যেই কেজিতে মিলছে। কিন্তু, আপেল, কলা, মুসুম্বি সেখানে প্রায় ১৫০-১৮০ টাকা কেজি দর হাঁকা হচ্ছে।

Previous articleদিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল, গুরুবারে বৈঠক অমিতের সঙ্গে
Next articleনবান্ন থেকে জেলার প্রশাসনিক ভার্চুয়াল বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর