চন্দননগরের ৩৩টি বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজোতে এবার ঘটপুজো হবে!

চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই আলোর রোশনাই , আর ডাকের সাজের সুউচ্চ প্রতিমা। কিন্তু এবার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্যরকম। মহামারি পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর মতোই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোতেও থাকছে একাধিক নিয়মবিধি ও বিশেষ সর্তকতা। আর সেই নিয়মবিধি মেনে চলতে চায় চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি। আর সেই কারণেই তারা বিভিন্ন পুজো কমিটির কাছে জানতে চেয়েছিল তাদের মতামত। সেই মতামত থেকেই উঠে এসেছে এক নয়া তথ্য।
এবার চন্দননগরের ৩৩ টি বারোয়ারি ঘট পুজো করবে বলে জানিয়েছে । এবং ১১৯ টি কমিটি চিরাচরিত স্বাভাবিক উচ্চতার প্রতিমা পুজো করবে বলে জানিয়েছে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির বৈঠকে বারোয়ারিগুলির প্রতিনিধিরা তাদের মতামত জানান।
তারা জানান, দুর্গাপুজোর সময় কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া গাইডলাইন মেনেই এবার জগদ্ধাত্রী পুজো হবে।
দুর্গাপুজোর  মতোই  জগদ্ধাত্রী পুজোতেও দর্শনার্থীদের মণ্ডপে প্রবেশকরতে দেওয়া হবেনা।
এমনকি পুজো মণ্ডপের দশ মিটার আগেই ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেওয়া হবে দর্শনার্থীদের।
এছাড়া রাজ্য সরকারের নির্দেশিত সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশাবলি মানা হবে।
কারণ, সাধারণ পুজো হলেই দর্শকদের ভিড় হবে। তাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ।
চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পূজা কমিটি এর আগে এক বৈঠক করে বলেছিল, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে পুজো কমিটিগুলির নিজস্ব বিষয়।  যদি তারা চান তাহলে মূর্তিপুজো করতে পারেন।
তবে সেক্ষেত্রে জগদ্ধাত্রী প্রতিমার স্বাভাবিক উচ্চতা কমানো চলবে না।
কম উচ্চতার প্রতিমা করা যাবে না। আর যারা চান না তারা ঘটপুজো করতে পারেন।
চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ জানিয়েছেন , “দুর্গাপুজোর সময় সরকার ও আদালত যে গাইডলাইন দিয়েছে তা মেনেই এখানে জগদ্ধাত্রী পুজো হবে। প্রত্যেক মণ্ডপের ১০ মিটার আগেই ব্যারিকেড করে দেওয়া হবে।”

Previous articleস্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক? গুলি করে খুনের চেষ্টা স্বামীর
Next articleযত রক্ত ঝরবে, তত বেশি শক্তি বাড়বে: হঁশিয়ারি লকেটের