আকাশছোঁয়া দাম, আলুর বীজ কিনতে গিয়ে দিশেহারা চাষিরা

ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধির এবার নাজেহাল জেলার চাষীরা। বাড়তে বাড়তে বর্তমানে আলুর বীজের দাম বস্তাপ্রতি পৌঁছে গিয়েছে চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায়। ফলস্বরূপ কার্যত দিশেহারা জেলার আলু চাষীরা। এত দামি বীজ কিনে কিভাবে চাষ করবেন? আর চাষ করলেও ফসলের দাম সঠিক পাবেন কিনা তা ভেবেই উদ্বিগ্ন আলু চাষীরা। দামের ঝাঁঝে বর্তমানে আলু চাষিরা তাকিয়ে রয়েছেন সরকারের দিকে। সরকারি হস্তক্ষেপে যদি কিছুটা সাহায্য মেলে।

সাধারণত কৃষিভিত্তিক জেলা হিসেবেই পরিচিত বাঁকুড়া। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই জীবিকা নির্ধারণ করেন চাষবাসের উপর ভিত্তি করে। তবে আলু চাষের মরশুম শুরু হওয়ার সময়ে দাম যে হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে তাতে মাথায় হাত পড়েছে চাষীদের। এখানে বহু চাষী রয়েছেন যারা অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষ করেন। বীজ আলুর দাম এভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়েছেন তারা। অনেক চাষির আবার পরিকল্পনা ছিল বোরো ধান বিক্রি করে আলুর বীজ কিনবেন। তবে এবার সেভাবে ধানের দাম না মেলায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের। মূলত অন্যান্য চাষের তুলনায় সারাবছরের অর্থকারী ফসল হিসেবে আলু চাষে কিছুটা লাভের মুখ দেখেন জেলার চাষীরা। তবে এবার বীজের দাম যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে এত দামি বীজ কিনে আদৌ চাষ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

আরও পড়ুন: ১ সেন্টিমিটারেরও কম পেন্সিলের শিসে কালীর মূর্তি গড়ে তাক লাগিয়েছেন সৌরভ

প্রসঙ্গে, সুবল সরকার নামে এলাকার এক চাষী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘বীজের যা দাম তাতে এক বিঘা জমিতে আলু চাষ করতে গেলেই ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে যাবে। সারের দামও ব্যাপক বেড়েছে চলতি বছরে। এত টাকা খরচ করে যদি সঠিক দাম না পাওয়া যায় পরবর্তী সময়ে তাহলে না খেয়ে মরতে হবে আমাদের।’ পাশাপাশি সরকারি সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যে মূলত আলুর বীজ আসে পাঞ্জাব থেকে। দাম যা বাড়ার সেখানেই বেড়েছে। তবে সরকারের তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার।

Previous articleগড়ফায় প্রতিবাদী প্রৌঢ়ের মৃত্যুতে উত্তেজনা
Next articleপথদুর্ঘটনায় মৃত কামালপুর বুথ-সভাপতি