করোনা আবহে অনাড়ম্বরে মা তারার আর্বিভাব তিথি পালন তারাপীঠে

কথিত আছে দুর্গাপুজোর শুক্লা চতুর্দশীর দিনে চাঁদসদাগর মা তারাকে তারাপীঠ মহাশ্মশানে থেকে এনে মা তারার মন্দিরে বিরাজ করিয়েছিলেন। সেই থেকে আজও রীতিনীতি মেনে চতুর্দশীর মা তারাকে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহ থেকে বের করে বিরামমঞ্চে রাখা হয়।

অন্য সময়ে মা তারা মন্দিরে উত্তরমুখে অবস্থান করেন কিন্তু এদিন মা তারা পশ্চিম মুখে থাকেন। এর কারণ হিসেবে জানা যায় যে মা তারা দ্বারকা নদীর তীরে তারাপীঠ মহাশ্মশানের দিকে মুখ করে থাকেন। আবার অনেকে বলেন যেহেতু মা তারার বোন ঝারখন্ডের মলুটিতে বিরাজমান মৌলিক্ষা মা’র সাথে দেখা করার জন্য পশ্চিম মুখে থাকেন।

প্রতিবছর এদিন মা তারাকে বিরামমঞ্চে দেখার জন্য দেশের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীরা সমাগম হয় তারাপীঠে। কিন্তু করোনা আবহে এবছরের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। শুধুমাত্র স্থানীয়রা আর হাতে গোনা কয়েকজন পুণ্যার্থী এসেছেন বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পুজোর ডালি বিক্রেতা থেকে হোটেল মালিক সকলের চোখে গলায় বিষাদের সুর। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দির খুললেও ট্রেন পরিষেবা না শুরু হওয়ায় ভক্তের দেখা নেই। ব্যবসায় আর্থিক মন্দা চলছে তাও কার্যত স্বীকার করে নেন তাঁরা।

এদিন শুক্লা চতুর্দশী তিথি মা তারাকে ভোর ৩টের সময় গর্ভগৃহ থেকে বের করে বিরামমঞ্চে রাখা হয়। এরপর সেখানে সারাদিন পূজার্চনা চলে। এদিন মা তারার দুপুরে কোনো অন্ন ভোগ রান্না হয় না। মা তারা উপবাসে থাকেন।সন্ধ্যেয় আরতির পর মা তারকে ভোগ নিবেদন করা হয়। এবং মা তারাকে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করানো হয়। মা তারার পাশাপাশি তারাপীঠের বহুস্থানীয়রা এদিন অন্নভোগ করেন না মা তারার সন্ধ্যা আরতির পর বাড়িতে বাড়িতে রান্না শুরু হয় তারাপীঠে।

আরও পড়ুন-পথদুর্ঘটনায় মৃত কামালপুর বুথ-সভাপতি

Previous articleপথদুর্ঘটনায় মৃত কামালপুর বুথ-সভাপতি
Next articleআরোগ্য সেতু: RTI-এর জবাব না মেলায় আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া মন্ত্রক