আরোগ্য সেতু: RTI-এর জবাব না মেলায় আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া মন্ত্রক

করোনা পরিস্থিতির মাঝে কেন্দ্রীয় সরকারের আরোগ্য সেতু অ্যাপকে কেন্দ্র করে বিতর্কের অন্ত ছিল না। সেই বিতর্কের মাঝেই সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের এই আরোগ্য সেতু অ্যাপ কারা তৈরি করেছে সে তথ্য চেয়ে ‘তথ্য জানার অধিকার আইনে’ (আরটিআই) আবেদন করে করে জনৈক ব্যক্তি। তবে সে আবেদনের কোনও জবাব আসেনি সরকারের তরফে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এবার কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক। তথ্য থাকা সত্বেও আরটিআই-এর জবাব না দেওয়ার অপরাধে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার।

বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতির মাঝে সরকারের তরফে জারি করা প্রত্যেকটি বিজ্ঞপ্তিতে রয়েছে আরোগ্য সেতু অ্যাপের কথা। এই অ্যাপকে বাধ্যতামূলক করার কথাও বলেছে সরকার। অথচ সম্প্রতি আরটিআই-এ সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল এই অ্যাপটি কে তৈরি করেছে? এর কোনও সদুত্তর মেলেনি। পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয় এই অ্যাপের ফাইল কোথায়? তথ্য চুরির বিষয়ে সরকার কী সর্তকতা নিয়েছে? এতগুলি প্রশ্নের পরও মুখ বুজে থেকেছে সরকার। এরপরই শোরগোল পড়ে যায় বিষয়টি নিয়ে। তথ্যপ্রযুক্তি দফতরের উপর চাপ আসতে থাকে মুখ্য তথ্য কমিশন ও বিরোধীদের তরফে।

রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি দপ্তরের তরফে এক বিবৃতি পেশ করা হয়। যেখানে জানানো হয় সমস্ত তথ্য থাকা সত্ত্বেও সেই তথ্য পেশ করা হয়নি। অফিসারদের গাফিলতির কারণেই ঘটেছে এই ঘটনা। ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: মণীশ খুনের ঘটনায় পাঞ্জাব থেকে গ্রেফতার আরও ২ শার্প শ্যুটার

প্রসঙ্গত এই অ্যাপের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই তথ্য চুরির অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। কারের তরফে অবশ্য জানানো হয় অ্যাপ তৈরিতে বিভিন্ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করেছেন। পাশাপাশি নীতি আয়োগ কর্তারাও এর সঙ্গে জড়িত। তাই যদি হয়, তবে প্রশ্ন এটাই, কেন সরকার আরটিআই-এর জবাব দিতে পারল না? বিরোধীদের তরফে অবশ্য জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই অ্যাপের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল তা স্পষ্টভাবে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে সরকারকে।

Previous articleকরোনা আবহে অনাড়ম্বরে মা তারার আর্বিভাব তিথি পালন তারাপীঠে
Next articleঅভিনন্দনের মুক্তির ঘটনায় বিকৃত করা হচ্ছে সত্য, পাল্টা ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাকিস্তানের