সোশ্যাল মিডিয়া সংকট, টুইটার-ফেসবুক-গুগল কর্তাকে তোপ মার্কিন সিনেটরদের

সামনেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে এবার সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল মার্কিন সিনেট। সাইবার আইন সংশোধন নিয়ে আমেরিকার সিনেটে শুনানি হয়ে উঠল রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের রাজনৈতিক তরজার মঞ্চ। বুধবার এই পদক্ষেপের শুনানিতে মার্কিন সিনেটে তলব করা হয়েছিল ফেসবুক, গুগল, টুইটারের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারদের। সেখানেই নিজেদের মধ্যে রাজনৈতিক তরজায় জড়িয়ে পড়েন দুইদলের সিনেটররা।

ফেসবুক, টুইটার এবং গুগলের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলো শালীনতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে কতখানি দায়বদ্ধ এই ইস্যুতে বাকযুদ্ধ শুরু হয় দুই দলের সিনেটরদের মধ্যে। ওঠে পক্ষপাতের অভিযোগ। বাদ ছিলেন না ওই তিন সংস্থার সিইও। রিপাবলিকান সেনেটররা একের পর এক অভিযোগ করেন ওই তিন সংস্থার বিরুদ্ধে।অভিযোগ তোলা হয় বেছে বেছে তাদের বক্তব্যকে সেন্সর করা হচ্ছে। পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের তরফে অভিযোগ তোলা হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মুখে বিভ্রান্তি মূলক পোস্ট করা হলেও তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না সংস্থাগুলো। প্রসঙ্গত মার্কিন সাইবার আইন অনুযায়ী সোশ্যাল মিডিয়াতে কারও রাজনৈতিক বক্তব্যের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দায়ী করা যায় না। এই আইন সংশোধনের জন্য শুনানি চলছিল মার্কিন সিনেটরে।

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষকে সরাচ্ছে দিল্লি? টিভির খবরে চাঞ্চল্য

সেখানে অবশ্য আইনের পক্ষেই মুখ খোলেন ফেসবুক, টুইটার, গুগলের সিইওরা। এই তিন সংস্থার প্রধান তাদের যৌথ বিবৃতিতে জানান, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলিকে কোন প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে ধরলে কারও বক্তব্যের দায় অবশ্যই তাদের নেওয়া উচিত। তবে সেখানে কেউ রাজনৈতিক মন্তব্য করলে তার রেফারির ভূমিকা পালন করতে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির নারাজ সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয় স্পষ্ট ভাবে। এরপর সিইওদের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান মার্কিন সিনেটর টেড ক্রাজ। টুইটার সিইওকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘কারা আপনাকে নির্বাচন করেছে এবং এই দায়িত্ব দিয়েছে?’ টুইটার কর্তা বিপরীত ধর্মী রাজনৈতিক রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসীদের চুপ করাচ্ছেন বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।

Previous articleপোড়া মাটির ঘট থেকে সপ্ততরী, বিভিন্ন রূপে ধরা দেন কোজাগরী লক্ষ্মী
Next articleভয় দেখিয়ে যুবকের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই, গ্রেফতার চার যৌনকর্মী