ভয় দেখিয়ে যুবকের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই, গ্রেফতার চার যৌনকর্মী

করোনা ও লকডাউনের আবহে রোজগারে টান পড়েছে সোনাগাছির বাসিন্দাদের। এমত অবস্থায় এক যুবকের কাছ থেকে ছিনতাই করার অভিযোগ উঠল যৌনপল্লির বাসিন্দা, চার যুবতীর বিরুদ্ধে। যদিও আপাতত পুলিশের জালে ধরা পড়েছে চার জনই।

 

ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ  উল্টোডাঙা ফুটব্রিজের নীচ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন তিনি। পেশায়, তিনি বেসরকারি সংস্থার কর্মী। আচমকাই ৪ যুবতী ঘিরে ধরে তাঁকে। তাঁর কাছ থেকে দুটি দামী মোবাইল, ব্লুটুথ হেডফোন, ও মানিব্যাগ থেকে তিন হাজার টাকা ছিনতাই করে। শুধু তাই নয়। যুবকের ব্যাগে থাকা এটিএম কার্ড দেখে তাঁকে পাশের এক এটিএমে নিয়ে যায় তারা। কিন্তু, যে ব্যাংকের এটিএম কার্ড তাঁর কাছে ছিল, তাতে বিশেষ টাকা ছিল না। তাই তিনি টাকা তুলতে পারেননি।

পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগপত্রে ওই যুবক জানিয়েছে, প্রথমে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু তারা ভয় দেখায়। তাকে মারধর করার হুমকি দেয় ওই চারজন। বলে, চিৎকার করে লোক ডাকবে। পথচারীদের বলবে, ওই যুবক তাদের শ্লীলতাহানি করেছে। পুলিশের কাছে উল্টে যুবকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়েরের ভয় দেখানো হয়।

তদন্তে নেমে পুলিস ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। ফুটেজে দেখা গেছে, যুবকের কাছ থেকে রীতিমত ছিনতাই করছে ওই চার জন্য। এটিএমের সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে চারজনের ছবি হাতে পান মানিকতলা থানার পুলিশ আধিকারিকরা। সেই ছবি নিয়ে তাঁরা সারারাত ধরে বড়তলার সোনাগাছি ও গিরীশ পার্কের রামবাগান এলাকায় তল্লাশি চালান।

পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তর কলকাতার বড়তলা থানা এলাকার সোনাগাছি থেকে চার যুবতী রিঙ্কু বিশ্বাস, ঝরনা সরকার, সুন্দরী দাস ও ঝরনা সাহাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে মানিকতলা থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে লুঠপাট করা জিনিসগুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, এরা সকলেই পেশায় যৌনকর্মী। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তোলাবাজির মামলা রুজু করেছে।

ধৃতদের জেরা করে জানা গেছে, লকডাউনের জন্য তাদের রোজগারপাতি নেই। তাই বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে পথ চলতি নিরীহ লোকজনকে টার্গেট করে তারা। এরপর কিছু লোকের কাছ থেকে যা-খুশি ছিনিয়ে নিত। খদ্দেরদের সঙ্গে দরদাম ঠিক করার পর তাঁদের নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে সবকিছু কেড়ে নিত। এমনকী, যদি কোনও খদ্দের দাম জেনেই চলে যেতেন তাঁকে ঘিরে ধরে টাকা ছিনিয়ে নিত অভিযুক্তরা। এই চক্রে আরও কারা আছে, তাদের সম্বন্ধে খোঁজ-খবর করছেন পুলিস অফিসাররা।

আরও পড়ুন-কংগ্রেসের জেলা পর্যবেক্ষক পদও ঢেলে সাজানো হলো

Previous articleসোশ্যাল মিডিয়া সংকট, টুইটার-ফেসবুক-গুগল কর্তাকে তোপ মার্কিন সিনেটরদের
Next articleমিথ্যাচার ফাঁস হতেই পুলওয়ামা নিয়ে নির্লজ্জ ইউটার্ন পাক মন্ত্রীর!