ব্যান্ডেলে প্রতারিতর জালেই প্রতারক, ঠাঁই শ্রীঘরে

পুলিশ নয়, প্রতারিত ব্যাক্তির জালেই ধরা পড়ল প্রতারক। এরপর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হল তাঁকে। ৯ অক্টোবর ব্যান্ডেলের লীচুবাগানের বাসিন্দা শুভসুন্দর রায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হওয়া জনৈক যুবক ঋণ দিতে আসেন। সহজ উপায়ে লোন দেওয়া হবে জানতে পেরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ওই যুবকের হাতে জমা দিয়ে দেন শুভ। পাশপাশি লোনের জন্য একটি সই করা চেক দেন তিনি।

সেই চেকে প্রতারক নিজেই নিজের ম্যাজিক পেন দিয়ে ক্যানসেল লিখে দেন বলে অভিযোগ। প্রতারক বেরিয়ে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরেই শুভ সুন্দর মোবাইলে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৬৫হাজার টাকা তুলে নেওয়ার মেসেজ আসে।

তড়িঘড়ি শুভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন যে পেন দিয়ে ক্যানসেল লেখা হয়েছিল চেকে সেটি আসলে ভ্যানিশিং কালি। এরপর শুভসুন্দর এবিষয়ে চুঁচুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ইতিমধ্যে শুভ তাঁর বন্ধুদের দিয়ে প্রতারককে লোন করিয়ে দেওয়ার টোপ দেয়। সেই টোপেই শনিবার ধরা পড়ে প্রতারক। নিজেকে অমিত রায় হিসাবে পরিচয় দেওয়া প্রতারক বর্তমানে চুঁচুড়া থানার হেফাজতে রয়েছে।

 

Previous articleশিলিগুড়িতে ৫ কেজি সোনা উদ্ধার, ধৃত ২
Next articleআর কতদিন সহ্য করতে হবে? কেন্দ্রের ভূমিকায় প্রশ্ন কাশ্মীরি পণ্ডিতদের