দীপাবলিতে আতসবাজি বন্ধে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি চিকিৎসক সংগঠনের

দুর্গাপুজার কিছুদিন আগেই করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম সংগঠনের সদস্যরা। এবার ফের করোনা পরিস্থিতির জন্যই দূষণহীন দীপাবলির অনুমতি চেয়ে চলতি বছরে আতসবাজি বন্ধে ফের মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন চিকিৎসকদের সংগঠন। যদিও এই দাবির বিরোধিতা করেছে আতসবাজি ব্যবসায়ীদের সংগঠন।
মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে WBDF তরফে বলা হয়েছে, আতসবাজির উৎসব দীপাবলি । এদিকে শ্বাসনালী সংক্রান্ত রোগ করোনা । এই অবস্থায় এবছর দীপাবলিতে আতসবাজি পোড়ানো হলে, তার জেরে কোভিড পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারন করতে পারে । এই ধরনের সম্ভাব্য পরিস্থিতি যাতে এড়ানো যায়, তার জন্য এবছর আতসবাজি পোড়ানো থেকে মানুষকে যাতে বিরত রাখা যায়, মুখ্যমন্ত্রী তেমন কঠোর পদক্ষেপ নিন ।

বুধবারই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। আর বর্ষা বিদায় নিতেই পশ্চিমবঙ্গে বাতাসে বাড়তে শুরু করেছে দূষণের মাত্রা। এর মধ্যে রাজ্যে কোভিডের সংক্রমণ এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। এবারের মতো আতসবাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নাহলে শ্বাসজনিত সমস্যায় অনেকেরই মৃত্যু ঘটতে পারে। বাতাসে ২০০-র ওপরে পিএম ২.৫’র মান থাকলে তা শ্বাস নেওয়ার জন্য বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। কলকাতা ও আশেপাশের এলাকাগুলিতে গত কয়েকদিন ধরে পিএম ২.৫’র মান ১০০–২০০ ওর মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বক্তব্য, পিএম ২.৫’র মান ২০০ ছাড়ানো খুবই উদ্বেগের। এতদিন লকডাউনের কারণে দূষণমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফের পুরনো চেহারায় ফিরছে কলকাতা। সেই কারণে দিওয়ালিতে বাজি পুড়লে তা হবে আরও বিপজ্জনক।

আরও পড়ুন- মল্লারপুর কাণ্ডে নয়া মোড়: নিজেদের মত থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরলেন বাবা-মা

এমনকি, চিকিৎসকদের এই সংগঠনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করে যেভাবে রাজনৈতিক জমায়েত হচ্ছে, এই বিষয়টিও উদ্বেগের ।
চিকিৎসক পুণ‍্যব্রত গুণ এবং চিকিৎসক রাজীব পাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে যৌথভাবে বলেছেন, “আমাদের বোঝা প্রয়োজন, সব কিছু ঠিক নেই ।”

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “শীতকাল আসন্ন । এর জন্য আমাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে । ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ইতিমধ্যে নতুন করে সংক্রমণের ঢেউ শুরু হয়েছে ৷ যা আগের তুলনায় বেশি মারাত্মক ।”
এরই পাশাপাশি সংগঠনের প্রস্তাব, করোনা প্রতিরোধের জন্য কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাও প্রয়োজন । স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে জরিমানার ব‍্যবস্থা করা প্রয়োজন । এই বিষয়টিও বিবেচনা করুক সরকার ।

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleবাতিল নাড্ডার সফর, টানা দুদিন দলীয় সভায় রাজ্যে অমিত শাহ