লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ, ফ্রান্স-জার্মানি-লন্ডনের ধাঁচে ভারতও কি লকডাউনের পথে?

উৎসব মরশুমে আশঙ্কা একটা ছিলই। আর সেই আশঙ্কাকে সত্যি করে রাজ্যে দুর্গাপুজোর পর রাজ্যে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। শেষ ১৪ দিনে(১৬-২৯ অক্টোবর) পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ২৭৫ জন। ক্রমাগতভাবে দেশজুড়ে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যাটা। এদিকে বিশ্বের একাধিক দেশে নতুন করে সংক্রমণের হার ব্যাপক বেড়ে যাওয়ায় ফের লকডাউনের পথে হেঁটেছে ফ্রান্স-জার্মানি লন্ডনের মত জায়গা গুলি। এহেন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে তবে কি ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে ভারত? যদিও সরকারের তরফে এ বিষয়ে স্পষ্ট ভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে আক্রান্তের হার যেভাবে বাড়ছে তাতে প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে সকলের মনেই।

রবিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গিয়েছে, এদিন শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৮,২৬৮ জন। এখনও পর্যন্ত যা সর্বাধিক। আর এই রিপোর্টের সঙ্গেই ৮১ লক্ষের গন্ডি পার করেছে দেশে করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা। বর্তমানে ভারতে করোনা আক্রান্ত ৮১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১১৯। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ৫৫১ জনের। সব মিলিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২১ হাজার ৬৪১। আক্রান্তের নিরিখে ভারতে প্রথম স্থানে রয়েছে কেরল। ২৪ ঘন্টায় এখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৯৮৪। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। শেষ ২৪ ঘন্টায় এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ১৯০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২৭ জনের। এরপর তালিকায় যথাক্রমে দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ ও কর্ণাটক। সমস্ত রাজ্যগুলিতেই আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড ভেঙেছে। উৎসব মরশু পরিস্থিতি আরও খারাপ দিকে যাবে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: Shuvendu Update: শুভেন্দু ভালো ছেলে, মমতার পাশেই থাকব: সাধন পাণ্ডে

প্রসঙ্গত, করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় ব্যাপক বৃদ্ধির কারণে ফের একবার লকডাউনের পথে হেঁটেছে জার্মানি ও ফ্রান্স। সম্প্রতি লন্ডনের আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে ফের লকডাউনের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। বর্তমানে ব্রিটেনে করণা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লক্ষ ১১ হাজার ৬৬০। আমেরিকাতেও হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। যদিও লকডাউনের বিষয়ে এখনও কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেয়নি আমেরিকা। ভারতে অবশ্য জল্পনা ছড়িয়েছিল উৎসব মরশুমে ফের লকডাউনের পথে হাঁটবে মোদি সরকার। যদিও সে বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে স্পষ্টভাবে কিছুই জানানো হয়নি। রাজ্যের তরফে অবশ্য গোটা বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আক্রান্তের হার যেভাবে বাড়ছে তাতে বিষয়টিকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়।

Previous articleশাসন আর উন্নয়নে যোগীর রাজ্য দেশে ‘নিকৃষ্টতম’!
Next articleবিহারে ফের ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার’, ছাপরায় বার্তা মোদির