৫৮ বছরের মধ্যে ‘শীতলতম অক্টোবর’, নিম্নমুখী তাপমাত্রায় করোনা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা

অক্টোবর পরার সঙ্গে সঙ্গে মোটামুটি গোটা দেশেই একটা ঠাণ্ডা আমেজ শুরু হয়ে যায়। তবে শীত আসতে আসতে সেই কালীপুজো–দিওয়ালির পরই। সাধারণত কলকাতা, দিল্লি, মুম্বইয়ের মত শহরে অক্টোবরে স্বাভাবিক নুন্যতম তাপমাত্রা থাকে ১৯.‌১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে বৃহস্পতিবার দেশের রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আইএমডির আঞ্চলিক আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রধান কুলদীপ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন যে সফদরগঞ্জ আইএমডির পর্যবেক্ষণে প্রমাণিত যে ২০২০ সালের অক্টোবর মাস সবচেয়ে শীতলতম।

আরও পড়ুন : অক্টোবর শেষ, এখনই জাঁকিয়ে শীত নয় বঙ্গে, জানালো হাওয়া অফিস

যদিও অক্টোবরে এর চেয়েও নিচে নেমেছে দিল্লির তাপমাত্রা। তা সাত দশকেরও বেশি সময় আগে। উল্লেখ্য, সফদরগঞ্জের আইএমডি পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে যে ১৯৬২ সালের পর এই প্রথম এ বছরের অক্টোবরে রেকর্ড ঠাণ্ডা পড়ল রাজধানীতে। মৌসম ভবন থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৩৭ সালের অক্টোবরে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু তারপর আর এতটা কমেনি কখনওই।

শেষ বার ১৯৯৪ সালের ৩১ অক্টোবর দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে৷ সাধারণত, বছরের এই সময় দিল্লিতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকা উচিত বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর৷ সেখানে এ বছরের গড় নুন্যতম তাপমাত্রা হল ১৭.‌২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৯৪ সালের পর ২০২০তে ফের পারদের এই অবনমন।

আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে দিল্লির আকাশ একেবারেই পরিষ্কার৷ মেঘের কোনও আচ্ছাদন নেই৷ আকাশে মেঘের আচ্ছাদন বা ক্লাউড কভারের অভাবেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পতন হতে পারে বলে আবহবিদেরা জানিয়েছেন। তবে ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে কুয়াশার দাপট। জানিয়েছে মৌসম ভবন।

আরও পড়ুন : করোনার সুপার স্প্রেডার শিশুরা, স্কুল খোলার ভাবনার মাঝেই আশঙ্কা ICMR-এর

আবহবিদরা জানাচ্ছেন, এমন আবহাওয়া বজায় থাকলে আগামী ১ নভেম্বর দিল্লির তাপমাত্রা পারদ দাঁড়াবে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার কয়েকদিনের মধ্যে দশের নিচে নেমে যাবে, অর্থাৎ রাজধানীতে জাঁকিয়ে বসবে শীত। তবে তাপমাত্রা নিম্নমুখী হলে করোনা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

Previous articleওয়েবসাইট হ্যাকিং ও পাল্টা হ্যাকিংয়ের তীব্র নিন্দা ভারতীয় হাইকমিশনের
Next articleShuvendu update: ১০ নভেম্বর বড় ঘোষণা নয়, জনবল দেখানোর রণকৌশল