কংগ্রেস নেতা কমল নাথ ইস্যুতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, কমিশনের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাদের তীব্র ভর্ৎসনা করল সর্বোচ্চ আদালত। ফলে একদিকে যেমন স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা কমল নাথ, অন্যদিকে তেমনি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল। বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করছিলেন, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে। কমল নাথ ইস্যুতে কমিশনের পদক্ষেপ নিয়ে এবার খোদ শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলায় সেই অভিযোগ আরও জোরদার হল।

শনিবার মধ্যপ্রদেশ উপনির্বাচনের প্রচারে কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের কিছু মন্তব্যে আপত্তি জানিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনে নির্বাচন কমিশন। সেইসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের তারকা প্রচারক থাকতে পারবেন না বলে নির্দেশ জারি করে। কমিশনের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কমল নাথ। কমিশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে বলেন, কমিশনকে কে এই ক্ষমতা দিল? কোন দলের নেতা কে হবেন, কে তারকা প্রচারক হবেন সেটা কি নির্বাচন কমিশন ঠিক করবে? তাদের কোনও এক্তিয়ারই নেই এই নির্দেশ দেওয়ার। ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি কমিশনের উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন, তারকা প্রচারকের তালিকা থেকে নাম সরানোর ক্ষমতা আপনাদের কে দিয়েছে? নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, মডেল কোড অফ কনডাক্টের নিয়ম মেনেই তারা কমল নাথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। যদিও এই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে কমিশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন-কেন্দ্রের সুপারিশ মেনে অসম, অন্ধ্রপ্রদেশ সহ ৩ রাজ্যে খুলল স্কুল
