দলকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে তৃণমূলের মাথাব্যথা অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ

বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলকে সুসংসহ করার চেষ্টা করছেন তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব। কিন্তু বিভিন্ন জেলাতেই সেই ঐক্য ভাঙার খবর মিলছে।

আরও পড়ুন: ভিন্নধর্মে সম্পর্ক, প্রেমিকার দাদাকে গুলি করে মারল জনপ্রিয় ইউটিউবার প্রেমিক

কোচবিহারে একা মিহির গোস্বামীতে রক্ষা নেই দোসর আরও চার। জেলা তৃণমূলের বৈঠকে জেলার ৮ বিধায়কের মধ্যে ৫ জনই অনুপস্থিত ছিলেন। মিহির গোস্বামী ছাড়াও মঙ্গলবারের বৈঠকে দেখা যায়নি সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া, শীতলখুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন, তুফানগঞ্জের বিধায়ক ফজলে করিম মিয়াঁ ও নাটাবাড়ির বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে।

কেন অনুপস্থিত পাঁচ বিধায়ক? প্রশ্ন করা হলে তৃণমূলের কোচবিহারের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় জানান, বৈঠকের কথা সব বিধায়ককেই জানানো হয়েছিল। কেন পাঁচজন এলেন না, সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।

বিধানসভা ভোটের আগে অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ বাড়ছে নদিয়া জেলা তৃণমূলেও। ব্লক সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে প্রথম থেকেই অসন্তুষ্ট নাকাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক কল্লোল খাঁ। এবার জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি চাইলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে নাকাশিপাড়ায় বিক্ষোভ সামলাতে নেতৃত্বর কাছে আবেদনও করেন কল্লোল। তিনি বলেন, সদ্য পদ থেকে অপসারিত অশোক দত্ত ও তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলে ক্ষোভ প্রশমনের প্রস্তাবও জানান বর্ষীয়ান এই নেতা।

পরে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে কল্লোল খাঁ বলেন, গৌরী ও নন্দের মতো বর্ষীয়ান নেতাদের উপদেষ্টামণ্ডলীতে রাখা উচিত। তাঁদের দলের প্রতি অবদানের কথা আমি ভোলা যায় না। সেই কারণেই তিনি পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন বলে জানান কল্লোল খাঁ।

রবিবার নদিয়ায় তৃণমূলের নতুন জেলা ও ব্লক কমিটি ঘোষণার পরেই নানা এলাকায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। কারণ, প্রবীণ নেতাদের ডানা ছাঁটায় ক্ষুব্ধ পুরনো সৈনিকরা। নাকাশিপাড়া ব্লক সভাপতি পদ থেকে অশোক দত্তকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে জল্পনা ছিলই। সেটা আটকাতে প্রথম থেকেই সক্রিয় ছিলেন কল্লোল খাঁ-সহ জেলার বর্ষীয়ান নেতারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্লক সভাপতির দায়িত্বে থেকে সরতেই হয়েছে থাকা অশোককে।
এই পরিস্থিতিতে কল্লোল খাঁর অবস্থান কী হয় তা জানতে সকলেই আগ্রহী ছিলেন। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এ দিন কৃষ্ণনগরে জেলা পরিষদের সভাকক্ষে দলের নবগঠিত জেলা ও ব্লক কমিটির পদাধিকারীদের নিয়ে বিজয়া সম্মিলনীতে গিয়ে শুধু পদ থেকেই অব্যাহতিই চাননি, অশোক দত্তদের সঙ্গে কথা বলার দাবিও রাখেন জেলা নেতৃত্বের কাছে।

এখন এই সব সামলে সুসংহত ভাবে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে করাটাই তৃণমূল নেতৃত্বের লক্ষ্য।

Previous articleভিন্নধর্মে সম্পর্ক, প্রেমিকার দাদাকে গুলি করে মারল জনপ্রিয় ইউটিউবার প্রেমিক
Next articleঅমিতের ৪৮ ঘন্টার কর্মসূচিতে কৈলাশ-মুকুলরা মরিয়া নিজেদের প্রমাণে!