যেমন কথা তেমন কাজ! ভাইরাল “চা কাকু”র সঙ্গে দেখা করলেন মিমি

কথা দিলে কথা রাখেন। প্রতিশ্রুতি দিলে তা পালন করেন। তিনি ভোটের পাখি নন। ভোট ফুরালেও কাজ করেন। দেখা করেন। তিনি মিমি চক্রবর্তী। টলিউডের শীর্ষ অভিনেত্রী। তৃণমূলের যাদবপুরের সাংসদ। অভিনেত্রী থেকে জননেত্রী। মিমির জুড়িমেলা ভার!

ভয়ঙ্কর করোনা আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনতা কারফিউ-এর কথা মনে আছে? ওইদিন এই শহরের এক গরীব-খেটে খাওয়া মানুষ খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন। নাম মৃদুল দেব। চিনতে পারলেন না তো? আসলে উনি “চা কাকু” বলেই পরিচিত।

হ্যাঁ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ”চা কাকু”র পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। তিনিই প্রথম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন চা কাকুর দিকে। প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই ভাইরাল চা কাকুকে ভুলে যাননি মিমি। বিজয়ার পর ফের একবার ‘চা কাকু’র সঙ্গে দেখা করলেন সাংসদ-অভিনেত্রী। পাটুলিতে নিজের দফতরে বসে শুনলেন তাঁর সমস্যার কথা।

আরও পড়ুন- মথুরাপুরে দোকানের চাল ভেঙে লক্ষাধিক টাকা চুরি

উল্লেখ্য, মৃদুলবাবু ওরফে চা কাকু পেশায় দিনমজুর। কষ্ট করেই দিন চলে তাঁর। নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর সংসার।
একথা জানার পরই সেই ‘চা কাকু’র পাশে দাঁড়ান সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। আজ, বৃহস্পতিবার নিজের পাটুলির অফিসে এসেছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, সেখানেই ‘চা কাকু’ বলে পরিচিত মৃদুল দেবের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর হাতে তুলে দেন বিজয়ার মিষ্টি।

আরও পড়ুন- ওবামার রেকর্ড ভেঙে ঐতিহাসিক জয়ের দরজায় দাঁড়িয়ে বাইডেন

আসলে তিনি মিমি চক্রবর্তী। সংসদীয় রাজনীতিতে হাতেখড়ির সময় অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন তিনি। প্রতিবাদ করেননি। সমালোচকদের নিন্দার উত্তর দেননি। আসলে তাঁর কাজই তাঁর পরিচয়। সত্যি বলতে কী মিমি এখন অভিনেত্রী থেকে জনো নেত্রী! সেটা প্রমান করে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন- শাহর বঙ্গ সফরের দিনই কয়লা মাফিয়া লালার বাড়ি-অফিসে CBI তল্লাশি