নকশালবাড়িতে যাঁর বাড়িতে খেয়েছিলেন অমিত, সেই গীতাকে চাকরি দিল রাজ্য

কিশোর সাহা: প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে বিজেপির দেশের শীর্ষ নেতা অমিত শাহ শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়িতে গিয়ে যে দম্পতির বাড়িতে দুপুরের খাবার খেয়েছিলেন। সেই পরিবারের গীতা মহালিকে হোমগার্ড পদে নিযোগ পত্র দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার সকালেই নকশালবাড়ি থানায় গিয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন গীতা। দার্জিলিং জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, নিয়োগপত্র আসার পরেই গীতা মহালিকে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই মতো তিনি কাজে যোগ দিয়েছেন। এদিন তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকারও গীতার সঙ্গে দেখা করেন। গীতার স্বামী রাজু জানান, রঞ্জনবাবু যে ভাবে নিয়মিত খোঁজখবর নিয়েছেন ও চাকরিটি যাতে দ্রুত হয় সেই চেষ্টা করেছেন বলে তাঁরা কৃতজ্ঞ।

এতদিন তিনি ছোট চা বাগানে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁর স্বামী রাজু রংমিস্ত্রি। বিজেপি নেতারা সাড়ে তিন বছর আগে আশ্বাস দেওয়ায় কষ্টের সংসারে অভাব ঘুচবে ভেবেছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে কিছুই হয়নি। তার পরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দেন।

তৃণমূলের তরফে তাঁদের ঘর সারানোর টাকা দেওয়া হয়। করোনার কারণে চা বাগানে কাজ অনিয়মিত হয়ে যায়। রং করানোর কাজও অমিল হয়। ফলে, ওই পরিবারের অভাব আরও বেড়ে যায়। খবর পেয়ে তৃণমূলের তরফে অনেকেই উদ্যোগী হন। তার পরে নথিপত্র তৈরি করে আবেদনের পরে গীতাকে হোমগার্ড়ে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়।

আরও পড়ুন:অমিত সফরের পরই বাঁকুড়ায় যাবেন শুভেন্দু! কী বার্তা দেবেন, তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল

ঘটনাচক্রে যে দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়ায় এক আদিবাসী পরিবারের আতিথেয়তা নিয়েছেন, সে দিনই গীতা চাকরিতে যোগ দিলেন। যা কি না বিজেপির নেতাদের কাছে এক বার্তা বলে দাবি করেন অনেকেই। তৃণমূলের শিলিগুড়ির নেতাদের কয়েকজন জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সকলের খোঁজ রাখেন, গরিব মানুষের পাশে দাঁড়ান এ ঘটনা ফের তা প্রমাণ করে দিল। যদিও বিজেপির দার্জিলিং জেলার এক নেতার কটাক্ষ, অমিত শাহ ওই বাড়িতে না গেলে শাসকদল ওঁদের জন্য কিছুই করতেন না।