আমি মিউজিক পার্টির লোক, বিজেপিতে যাচ্ছি না! অমিত প্রস্থানে মন্তব্য অজয় চক্রবর্তীর 

“আমি রাজনীতি বুঝি না আমি রাজনীতির লোক নই বিজেপিতে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না কারন আমার পার্টির নাম মিউজিক পার্টি”! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার পর এমনই মন্তব্য করলেন পদ্মভূষণ সংগীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।

অজয় চক্রবর্তী বলেন, “আমি ওনাকে আমন্ত্রণ করিনি। তবে আমার মত একজন চুনোপুঁটির বাড়িতে এসেছেন। আমার বাড়িতে খুব ছোট জায়গা। সাধ্যমত ওনাকে আপ্যায়ন করার চেষ্টা করেছি। উনি কিছু খাননি। আমার ছাত্রছাত্রীরা ওনাকে গান শুনিয়েছেন। তবে ওনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খুব ভালো লাগলো।”

বিজেপি বা রাজনীতি সংক্রান্ত আলোচনা হল কি? অজয় চক্রবর্তীর স্পষ্ট জবাব, ” উনি খুব মার্জিত ভাবে আমার সঙ্গে কথা বলেছেন। যতক্ষণ ছিলেন একটিবারও বিজেপি বা রাজনীতি নিয়ে একটি কথাও মুখে আনেন নিয়ে অমিত শাহ। আর আমি তো রাজনীতির কিছুই বুঝিনা। আমি শুধু গান বুঝি। ছোটবেলা থেকে গানই আমার ধ্যান-জ্ঞান। এখনও শিখছি আমি। সবই আমার গুরুদেবের আশীর্বাদ। তাছাড়া আমি মনে করি, দেশ সেবার জন্য রাজনীতি করতেই হবে তার কোনও মানে নেই। যে কোন মানুষ তার নিজের ক্ষেত্র থেকে দেশ সেবা করতে পারেন। আমি গানের মাধ্যমেই দেশসেরা করতে চাই।”

আরও পড়ুন : মতুয়া মহাসঙ্ঘের মন্দিরে এলেই নাগরিকত্ব ইস্যুতে প্রশ্ন করা হবে অমিত শাহকে

তাহলে কী বললেন অমিত শাহ? অজয় চক্রবর্তী বলেন, “আমাকে ওনার দিল্লির বাড়িতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। উনি বলেন, আমার গান খুব পছন্দ করেন। তাই কলকাতায় এসে একবার আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে ছিল। তাই আমার বাড়িতে আসা।”

এরপর পদ্মভূষণ সংগীতশিল্পী মনে করিয়ে দেন, “শুধু অমিত শাহ নন, এর আগে অনেক রাজনীতিবিদ-মন্ত্রী আমার বাড়িতে এসেছেন। আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, দেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন এপিজে আবদুল কালাম আমার বাড়িতে ঘুরে গিয়েছেন। আব্দুল কালাম নিয়ম করে আমার গান শুনতেন। তার চেয়ে বড় কিছু প্রাপ্তি হতে পারে না। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে খুব সুসম্পর্ক ছিল। তিনিও অনেকবার আমার বাড়িতে এসেছেন। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি যতদিন সুস্থ ছিলেন তাঁর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে গান করার জন্য আমন্ত্রণ জানাতেন। জ্যোতি বসু আমার বাড়িতে এসেছেন। আর বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এই বাড়ি করার জন্য তো জমিও দিয়েছেন। বাবুল সুপ্রিয় আমার ছাত্র। ওকে আমি স্নেহ করি। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কথা হয়।”

এরপরই নিজে থেকেই রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে আনেন অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার খুব সুসম্পর্ক। হাজার নিয়ম করে আমার শরীরের খোঁজখবর নেন। আমার খুব ইচ্ছা উনাকে একদিন আমন্ত্রণ করে বাড়িতে আনার।”

Previous articleউদ্বাস্তুদের জমির পাট্টা বিলি গুরুত্বপূর্ণ, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অশোক ভট্টাচার্যের
Next article‘চিল ডোনাল্ড, চিল’! ছোড়া ইট পাটকেল হিসেবে ফেরালেন গ্রেটা