যত্ত সব ভুলভাল! ট্রাম্পের বক্তব্যের মাঝপথেই সম্প্রচার বন্ধ করল একাধিক চ্যানেল

হারের আশঙ্কায় বেপরোয়া হয়ে ভুলভাল বকছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁকে আর বাড়তি গুরুত্ব দিতে রাজি নয় মার্কিন সংবাদমাধ্যম। আর তাই তাঁর বক্তব্য হজম না করতে পেরে কথার মাঝখানেই সম্প্রচার বন্ধ করল একাধিক মার্কিন টিভি চ্যানেল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের গণনা পর্বে টানটান উত্তেজনার মধ্যেই এই নজিরবিহীন কাণ্ডের সাক্ষী থাকল আমেরিকা।

নির্বাচন ও গণনা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের ছত্রে ছত্রে ভুল আর মিথ্যে কথা। সেই যুক্তিহীন বক্তব্য সম্প্রচারের কোনও মানেই হয় না। এই যুক্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের সম্প্রচার মাঝপথে বন্ধ করে দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক নিউজ চ্যানেল। নিউজ নেটওয়ার্কগুলির দাবি, ট্রাম্প যে বক্তব্য রাখছিলেন তা শুধু অসত্যই নয়, প্ররোচনা সৃষ্টিকারী ও হিংসামূলক। তা সামাজিক হিংসা ও বিদ্বেষ তৈরি করতে পারে। এখনও প্রকাশিত হয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল। তবে ট্রাম্পের হারের ইঙ্গিত স্পষ্ট হচ্ছে। এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট বক্তব্য রাখছিলেন হোয়াইট হাউস থেকে। এই সম্প্রচারই বন্ধ করে দেয় বেশিরভাগ চ্যানেল। ১৭ মিনিটের বক্তৃতায় ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ডেমোক্র্যাটরা অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় ভোট করেছে। ভোট চুরি করা হয়েছে বলেও তাঁর দাবি। যদিও কোনও দাবির স্বপক্ষেই কোনও যুক্তি দেখাতে পারেননি ট্রাম্প।

আরও পড়ুন:সিল করুন সীমান্ত, বিএসএফ কর্তাদের কড়া নির্দেশ অমিত শাহর

ট্রাম্পের বক্তব্যের সম্প্রচার মাঝপথে বন্ধ করে দেয় এনবিসি, এবিসি চ্যানেল। এমএসএনবিসি চ্যানেলের অ্যাঙ্কর ব্রায়ান উইলিয়ামস জানান, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বাধা না দিলেও তাঁর বক্তব্য সংশোধনের অনুরোধ জানাচ্ছি। সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এরকম বহু চ্যানেলই ট্রাম্পের বক্তব্যের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। সিএনএনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ট্রাম্পের এই ধরণের বক্তব্য আমেরিকার ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকারক। বিষয়টি নিন্দনীয় ও দুর্ভাগ্যজনক। কথায় কোনও যুক্তি নেই, আবোলতাবোল বকে যাচ্ছেন। একটার পর একটা মিথ্যা বলে চলেছেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল প্রকাশিত না হলেও যে ইঙ্গিত মিলছে, তাতে জো বাইডেন জয়ের খুব কাছাকাছি। আর সেটাই হজম করতে পারছেন না ট্রাম্প। এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এবার ট্রাম্পের হুমকির তোয়াক্কা না করে তাঁর বক্তৃতার সম্প্রচারই মাঝপথে বন্ধ করে দিল মার্কিন টিভি চ্যানেলগুলি।