নোটবন্দি না পারলেও কালোটাকার কারবারিরা জব্দ করোনায়, সমীক্ষা রিপোর্ট

নোটবন্দি যা করে উঠতে পারিনি সেটাই অবলীলায় করে দিয়েছে করোনাভাইরাস। অনলাইনে আর্থিক লেনদেনের কারণে নগদ টাকার ব্যবহার কমে গিয়েছে অনেকটাই। যার জেরে কালো টাকার কারবারিরা পড়েছে ফাঁপরে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার রিপোর্টে প্রকাশ্যে এলো চাঞ্চল্যকর এমনই তথ্য। যা নিশ্চিত ভাবেই ভারতীয় বাজারের জন্য ভালো খবর।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম লোক্যালসার্কেলস-এর একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে করোনা পরিস্থিতির মাঝে দেশের বেশিরভাগ মানুষ অনলাইন লেনদেনের ওপর বেশি জোর দিয়েছেন। ফলস্বরূপ ২০১৯ সালের তুলনায় নগদ অর্থের ব্যবহার কমে অর্ধেক হয়ে গিয়েছে ২০২০ তে। ভারতের প্রায় ৩০০ টি জেলার ১৫ হাজার মানুষের ওপর চালানো এই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে রশিদ ছাড়া মাসের ৫০-১০০ শতাংশ খরচ করতেন প্রায় ২৭ শতাংশ মানুষ, কিন্তু মহামারীর আবহে সংখ্যাটা ২০২০-তে নেমে এসেছে ১৪ শতাংশে। সমীক্ষাতে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ মানুষের দাবি বেতন দেওয়া ও বাইরে খাওয়া দাওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন লেনদেনে জোর দিয়েছেন। সম্প্রতি কেনাবেচা ও বাড়ি ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে অনলাইন লেনদেন করেছেন ৩ শতাংশ মানুষ। ৭ শতাংশ মানুষ অবশ্য দাবি করেছে তারা নগদ টাকার ব্যবহার করেছে ঘুষ দেওয়ার ক্ষেত্রে। এই সমীক্ষক সংস্থার প্রধান শচীন তাপারিয়ার দাবি শুধু অনলাইন লেনদেন নয় ডিজিটাল রশিদের প্রবণতা বেড়েছে সাম্প্রতিক সময়ে।

আরও পড়ুন:কোথায় নব্যরা? মধ্যাহ্নভোজেও এক পঙক্তিতে আদি বিজেপি নেতৃত্ব!

তবে শুধু বেসরকারি সমীক্ষা নয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফেও ২০২০ অর্থবর্ষে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে দেখা গেছে, এই সময় ডিজিটাল লেনদেন এর ব্যবহার বেড়ে হয়েছে ৩৪৩৪.৫৬ কোটি টাকা। লোক্যালসার্কেলসের সমীক্ষা আরও দাবি করেছে ইউপিআই ব্যবহার করে ২০৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে শুধুমাত্র অক্টোবর মাসে। তবে অনলাইন লেনদেন বাড়লেও টাকার রমরমায় পুরোপুরি লাগাম টানা এখনই সম্ভব হয়নি। অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, যে সমস্ত ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ কালো টাকার লেনদেন হচ্ছে সেই সমস্ত ক্ষেত্রগুলি এখনো অধরাই রয়েছে।

Previous articleকোথায় নব্যরা? মধ্যাহ্নভোজেও এক পঙক্তিতে আদি বিজেপি নেতৃত্ব!
Next articleবিদায় বেলাতেও চিনকে খোঁচা! নয়া পদক্ষেপ ট্রাম্পের