প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোট বাতিলের ঘোষণার দিনটি নয় নয় করে চার বছর পেরলো। চার বছর আগে আজকের দিনে তিনি জানিয়েছিলেন, সেইদিন মধ্যরাত থেকে ১০০০ টাকা ও ৫০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যাবে। তার দাবি ছিল, এর ফলে দেশের কালো টাকাও উদ্ধার হবে। বন্ধ হবে সন্ত্রাসবাদ।
আর তাতে সামিল হয়েছিল গোটা দেশ। বিরোধী-সহ অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ ভুল। ভারতীয় বেহাল অর্থনীতির জন্যে এই নোটবন্দিকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তারা। যদিও আজ রবিবার নিজের সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে আবার নিজেই সওয়াল করলেন মোদি। বললেন, ‘নোট বাতিল সিদ্ধান্ত ছিল ভারতের জন্য আশীর্বাদ।’
তিনি আজকেও দাবি করেন, নোট বাতিলের ফলে অর্থনীতিতে কালো টাকা যেমন কমেছে, একইসঙ্গে বেড়েছে কর আদায়। এমনকি দেশে আর্থিক লেনদেনেও স্বচ্ছতা বেড়েছে । এর ফলে দেশের উন্নয়নে গতি এসেছে। তার সুরে সুরে মিলিয়েছে তাঁর দল বিজেপিও।
বিজেপির দাবি, ২০১৬-১৭ সালে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছিল ৬৯৫২ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২১ লাখ কোটি টাকা। ট্যুইটে বিজেপির দাবি, ২০১৩-১৪ সালে যে পরিমাণ কর্পোরেট ট্যাক্স আদায় হয়েছিল, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে সেই আদায় বেড়েছে ৩৫%। ২০১৬-১৭ সালে আয়কর রিটার্নের সংখ্যা ছিল ৮.০৩ লাখ। নোটবাতিলের ফলে মাত্র ১ বছরের মধ্যে, ২০১৭-১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৯.৪২ লাখ।

नोटबंदी PM की सोची समझी चाल थी ताकि आम जनता के पैसे से ‘मोदी-मित्र’ पूँजीपतियों का लाखों करोड़ रुपय क़र्ज़ माफ़ किया जा सके।
ग़लतफ़हमी में मत रहिए- ग़लती हुई नहीं, जानबूझकर की गयी थी।
इस राष्ट्रीय त्रासदी के चार साल पर आप भी अपनी आवाज़ बुलंद कीजिए। #SpeakUpAgainstDeMoDisaster pic.twitter.com/WIcAqXWBqA
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) November 8, 2020
অবশ্য নোটবন্দির চার বছর পূর্তি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধী। এই সিদ্ধান্তকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। টুইটে রাহুল লিখেছেন, ‘নোটবন্দি হল প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল যাতে সাধারণ মানুষের কোটি কোটি টাকা ‘মোদি-মিত্র’ পুঁজিপতিদের হাতে চলে যায়। এটা কোনও ভুল নয়, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছিল। এর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে আওয়াজ তুলতে হবে।’
