ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠল মেদিনীপুরের বিস্ময় শিশু অদ্রীশ পালের

বয়স সবে ৪। কিন্তু তাতে কী? এর মধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম তুলে ফেলেছে মেদিনীপুরের অদ্রীশ পাল। কেন? এতটুকু বয়সেই সে গড়গড় করে বলতে পারে ছড়া, কবিতা, ইংরেজিতে সপ্তাহের সাতটি বার, ১২ মাসের নাম। এছাড়াও ১১ ধরনের জ্যামিতিক আকৃতি তো তার কন্ঠস্থ।

আরও পড়ুন : নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে ভোটযুদ্ধের দামামাই বাজিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী

মেদিনীপুর শহরের কুইকোটার বাসিন্দা অদ্রীশের বাবা তাপসকুমার পাল এবং মা অনিন্দিতা দু’জনেই শিক্ষকতা করেন। ক্ষীরপাইয়ের সেন্ট জোন্স স্কুলের লোয়ার নার্সারির ছাত্র অদ্রীশ। কিন্তু লকডাউনে তো স্কুল বন্ধ ছিল। তাই বাড়িতেই চলছিল অধ্যয়ন।

অদ্রীশ এখন ২৫টি কবিতা, ছড়া সুন্দর ভাবে আবৃত্তি করতে পারে। মাঝপথে একবারও আটকায় না। এছাড়া ইংরেজিতে সপ্তাহের সাতটি বার, ১২ মাসের নাম, মানবদেহের ১৬ টি অঙ্গের নাম, ১১ ধরনের জ্যামিতিক আকৃতি চিনে তাদের নাম বলতে পারে। ফল সবজির নামও কণ্ঠস্থ এই খুদের। গরগরিয়ে করে বলতে পারে এগারোটা সবজি, বারোটা ফলের নাম। এছাড়াও কম্পিউটার কি-বোর্ডে ইংরেজি বর্ণমালা এবং ১ থেকে ৪০ পর্যন্ত টাইপ করতে পারে। খুদে অদ্রীশ এমন অনেক কিছুই জানে, যা এই বয়সে সত্যিই অবাক করার মতো।

মূলত মায়ের উৎসাহেই, এতটুকু বয়সে এতকিছু শিখে ফেলেছে সে। অবশ্য শুধু তাতেই থেমে নেই অদ্রীশ। বিভিন্ন অনলাইন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণও করত সে। সেখান থেকে ৭৬ টি শংসাপত্রও অর্জন করেছে সে । কিছু মাস আগে অনলাইনে আন্তর্জাতিক স্তরের একটি আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার পেয়েছিল অদ্রীশ। আর সেই সূত্রেই এই সাফল্য।

আরও পড়ুন : বিশালকে নিয়ে বিষ্ণুর মাথার খোঁজে তল্লাশি শুরু পুলিশের

জানা গিয়েছে, অদ্রীশের এই সাফল্য এবং স্বীকৃতি ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের ২০২২ সালের সংস্করণে প্রকাশিত হবে। ইতিমধ্যেই সেই স্বীকৃতির শংসাপত্র ছাড়াও সে পেয়েছে মেডেল, ব্যাচ, আইডেন্টিটি কার্ড, পেন ও স্টিকার। অদ্রীশ তো খুশি। সঙ্গে খুশি ওর বাবা, মা, আত্মীয়-পরিজন, প্রতিবেশীরাও।

Previous articleকমলার জয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত বলিউড অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা, কী সম্পর্ক তাঁর সঙ্গে?
Next articleবিহারে নজরকাড়া বাম, ২৯ আসনে লড়াইয়ে নেমে ২০ টিতে জয়ের পথে লাল শিবির