নন্দীগ্রামের মঞ্চ থেকে ভোটযুদ্ধের দামামাই বাজিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী

মুখে বললেন বটে এই পবিত্র মঞ্চ থেকে রাজনীতির কথা কিছু বলবেন না, কিন্তু যা ইঙ্গিত দিলেন তাতে স্পষ্ট যে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নাম না করে বললেন, দেখা হবে ভোটের ময়দানে। এরপর তিনি বলেন, “ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ব্যানারে এই মঞ্চ পবিত্র। এখান থেকে রাজনীতির কথা বলব না। তবে, আমার চলার পথে কোথায় খানাখন্দ, কোথায় মসৃণ বলব রাজনীতির মঞ্চে”। রাজনীতির ময়দানে দেখাও হওয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন তিনি।

নন্দীগ্রাম আন্দোলনের শহিদদের স্মরণ করার পরেই সেই সময় আন্দোলনে পাশে থাকা সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শুভেন্দু অধিকারী। নাম নেন মহাশ্বেতা দেবী শঙ্খ ঘোষ, শুভাপ্রসন্ন থেকে শুরু করে পল্লব কীর্তনীয়া; এমনকী অর্পিতা ঘোষেরও। শুধু একবারের জন্য নাম করেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

শুধু তাই নয়, নাতিদীর্ঘ বক্তৃতার শেষে উল্লেখযোগ্যভাবে ‘জয় বাংলা’র পাশাপাশি বললেন “ভারতমাতা জিন্দাবাদ”।

এদিন নন্দীগ্রামের গোকুলপুরে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। সেখানে নিজের ভাষণে সরাসরি নাম না করে শাসকদলের মঙ্গলবারের সভাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ভালো লাগছে তেরো বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়েছে”। একই সঙ্গে প্রশ্ন তোলেন, “ভোটের আগে এলে ভোটের পরেও আসতে হবে, পারবেন তো?”

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিইউপিসি-র ব্যানারে এই ধরনের সভা হবে নন্দীগ্রাম জুড়েই। তবে, এই মঞ্চ থেকে রাজনীতির কথা বলবেন না বলে ভাষণে জানিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী। সুতরাং রাজ্য রাজনীতি এদিন তাঁর দলবদলের ঘোষণা নিয়ে যে জল্পনা ছিল তা আপাতত জল্পনার পর্যায়েই রইল। তবে তিনি যে ভোট যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে দিলেন একথা বলছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামের শহিদদের শ্রদ্ধা জানালেন মমতা-অভিষেক

Previous articleবাইডেনের কাছে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছল না চিনের, কারণ ব্যাখ্যা করল জিনপিং-এর সরকার
Next articleআসানসোল ডিভিশনে এখনই চালু হচ্ছে না লোকাল ট্রেন,ক্ষুব্ধ নিত্যযাত্রী ও ব্যবসায়ীরা