বিজেপিকে ঠেকাতে ফের শরিক নীতীশ- তেজস্বী? জল্পনা শুরু

গণনার প্রবনতা বলছে, বিহার দখলে হোঁচট খাওয়ার মুখে মহাজোট৷ ২০১৫-র মতো ২০২০ সালেও ভুল প্রমানিত হতে চলেছে যাবতীয় এক্সিট পোল৷

২০১৫- র বিহার বিধানসভার ভোটে প্রায় সবক’টি এক্সিট পোল বলেছিলো, বিহারে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন NDA জোট৷
সেদিন JDU ছিলো না NDA-তে ৷ NDA-এর বিরুদ্ধে ছিলো JDU, RJD এবং কংগ্রেস৷ এক্সিট পোল বলেছিলো বিজেপির জয় নিশ্চিত ৷ কিন্তু তা ভুল প্রমাণিত হয়েছিল৷ মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন নীতীশ কুমারই৷

২০২০ সালের এক্সিট পোল দিনকয়েক আগে জানায় মহাজোটের জয় সুনিশ্চিত ৷ অথচ গণনার প্রবনতা বলছে, এবারের এক্সিট পোলও দশ গোল খেয়েছে ২০১৫-র মতোই৷

গণনার ট্রেন্ডে পরিষ্কার, ২০২০-এ বিহার বিধানসভার একক বৃহত্তম দল হতে চলেছে বিজেপি৷ নীতীশের JDU এখনও পর্যন্ত তিন নম্বরে৷ JDU-র পিঠ এবার দেওয়ালে ঠেকিয়ে দিয়েছে চিরাগ পাসোয়ানের LJP, আর এই চিরাগের পিছনে নীরবে মদত দিয়ে গিয়েছে বিজেপি৷ LJP-ও বেছে বেছে নীতীশের দলের বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিয়েছে৷ ভোট কেটে পথে বসিয়েছে JDU-কে৷ বিজেপির এই খেলা যে নীতীশ ধরতে পারেননি, এমন নয়৷ কিন্ত এবার ‘শক্তিহীন’ নীতীশের ফোঁস করার ক্ষমতা নেই৷ পরিস্থিতি এমন, বিজেপি যদি ‘দয়া করে’ নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করে, তাহলে কুর্সি ফিরে পাবেন নীতীশ ৷ নাহলে জুনিয়র-পার্টনার হয়ে মন্ত্রিসভায় থাকতে হবে৷ এবং এটাও ঠিক, নীতীশ যদি মুখ্যমন্ত্রী না হতে পারেন, তাহলে এবার আর নীতীশের মন্ত্রী হওয়া হবে না৷

ঠিক এই চান্সটাই নিতে চাইছে কংগ্রেস হাই কম্যান্ড৷ দিল্লিতে প্রাথমিক আলোচনা চলছে, বিজেপিকে রুখতে ফের যদি নীতীশ কুমার আর তেজস্বী যাদবকে আলোচনার টেবিলে আনা যায়৷ সেক্ষেত্রে, ২০১৫-র মতোই নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র দফতর-সহ উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব৷ পিছনে থাকবে কংগ্রেস ও বামেরা৷

তবে এবার সহজ হবেনা তেজস্বীকে রাজি করানো৷ তবুও সলতে পাকানোর কাজ চলছে৷ নীতীশ কুমার রাজি থাকলে বিজেপিকে গদির বাইরে রাখতে আসরে নামতে পারেন কংগ্রেস চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীও৷
তবে এই সমীকরণ হবে কিনা, প্রথমে তা নির্ভর করছে নীতীশ কুমারের উপর৷ বিজেপি যেভাবে চিরাগ পাসোয়ানকে ব্যবহার করে নীতীশকে মাঠের বাইরে পাঠালো, তার ‘বদলা’ নিতে নীতীশ কুমার কতখানি আগ্রহী, তার উপরই নির্ভর করছে এই কৌশল৷ নীতীশ রাজি হলে, তেজস্বী যাদবকে বোঝাতে নামবেন স্বয়ং সোনিয়াজি৷ উদ্দেশ্য একটাই, বিজেপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখা৷

গোটা বিষয়টি এখনও প্রাথমিকস্তরে৷ চূড়ান্ত ফলপ্রকাশের অপেক্ষায় সব পক্ষই৷

আরও পড়ুন-বিহারের চূড়ান্ত ফল জানতে মাঝরাত গড়াতে পারে, ধারনা নির্বাচন কমিশনের

Previous articleবিহারের চূড়ান্ত ফল জানতে মাঝরাত গড়াতে পারে, ধারনা নির্বাচন কমিশনের
Next articleজাতীয় বাংলা সম্মেলনের হাত ধরে ‘ঘরে ফেরার গান’