দ্বিতীয়বার ক্যান্সার হারিয়ে জয়ী ষাটোর্ধ্ব, নেপথ্যে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ

স্তন ক্যান্সার থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু ফের শরীরে দানা বেঁধেছিল কর্কট রোগ। মারণ রোগ ছড়িয়ে পড়েছিল পাঁজরেও। সেই রোগীকে সুস্থ করে তুলল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। যার নেপথ্যে আছেন মেডিক্যাল কলেজের কৃতি চিকিৎসক ধৃতিমান মৈত্র। ব্রেস্ট অ্যান্ড এন্ডোক্রিন সার্জারি ক্লিনিকের অস্ত্রোপচারের পর আপাতত সুস্থ ৬৫ বয়সী ওই রোগী।


৬৫ বছর বয়সী ওই মহিলার বছর তিনেক আগে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়ে। অস্ত্রোপচারে একটি স্তন বাদ যায়। অস্ত্রোপচার পরবর্তী পর্যায়ে রেডিয়েশন কেমো চলছিল। কিন্তু মাস দুয়েক আগে হঠাৎ ঘা হয়ে যায় অস্ত্রোপচারের জায়গায়। এরপরই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে আসেন ওই মহিলা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায় ফের ফিরে এসেছে ক্যান্সার। টিউমারের নিচের অংশ ছড়িয়ে পড়েছে ক্যান্সার। শুধু তাই নয় ক্যান্সার ছড়ায় পাঁজরেও।

ডা. ধৃতিমান মৈত্র জানান, সোমবার ওই মহিলার অস্ত্রোপচার করা হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল শুধুমাত্র টিউমারের নিচের অংশে ছড়িয়ে পড়েছে ক্যান্সার। কিন্তু অস্ত্রপচার করার সময় দেখা যায় ক্যান্সার ছড়িয়েছে পাঁজরেও। অস্ত্রোপচার করার পরে একটি গহ্বর তৈরি হয়। হার্নিয়া অস্ত্রোপচারে ব্যবহৃত পলি প্রপলিনের জালি ব্যবহার করে প্রাথমিকভাবে ওই গহ্বর ঢাকা হয়। পেটের থেকে মাংস নিয়ে বাকি ক্ষত ঢাকা হয়। তাঁর কথায়, “দ্বিতীয়বার ক্যান্সার ফেরত এলো যে বাঁচার আশা নেই, তা একেবারেই নয়। অস্ত্রোপচারে সেটাই প্রমাণিত হলো।”


গত ৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে যাত্রা শুরু করে ব্রেস্ট অ্যান্ড এন্ডোক্রিন সার্জারি ক্লিনিক। জেনারেল সার্জারি বিভাগের অন্তর্গত ব্রেস্ট অ্যান্ড এন্ডোক্রিন সার্জারি বিভাগ কাজ করবে। যার মূল দায়িত্বে আছেন সার্জারি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. ধৃতিমান মৈত্র। কোনও সরকারি হাসপাতালে ক্লিনিক এই প্রথম।

আরও পড়ুন:ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠল মেদিনীপুরের বিস্ময় শিশু অদ্রীশ পালের

Previous articleকেন সভা করতে হলো, তার ব্যাখ্যা দিলেন দোলা-পূর্ণেন্দু
Next articleবেনজির, ধান আছে অথচ তার ভেতরে চাল নেই! মাথায় হাত ভাতারের কৃষকদের