বঙ্গে নিষিদ্ধ, বাজি পোড়ানোয় তেলেঙ্গানা পেল দু’ঘণ্টার ‘সুপ্রিম ছাড়পত্র’

দীপাবলি ঠিক একদিন আগে শীর্ষ আদালতে নির্দেশে বড়সড় স্বস্তি পেল তেলেঙ্গানার বাজি নির্মাতারা। করোনা পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট রাজ্যে বাজি বিক্রি ও বাজি ফাটানোর উপর সম্পূর্ণরূপে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যে নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তেলেঙ্গানার বাজি নির্মাতারা। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানিতে জানিয়ে দেওয়া হল, এনজিটি-র নির্দেশিকা মেনে বাজি বিক্রি ও বাজি ফাটাতে পারবেন তেলেঙ্গানাবাসী।

তবে আদালত এই নির্দেশ দিলেও বেশ কিছু নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে বাজি বিক্রেতা ও যারা বাজি ফাটাচ্ছে তাদেরকে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছে দীপাবলি উপলক্ষে মাত্র দু’ঘন্টার জন্য বাজি ফাটাতে পারবেন রাজ্যবাসী। এবং সেটা অবশ্যই পরিবেশবান্ধব বাজি। জানা গিয়েছে হাইকোর্টের তরফে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর তেলেঙ্গানার ফায়ার ওয়ার্কস ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাদের তরফে জানানো হয় হাইকোর্টের নির্দেশে হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে গেলে বিপুল পরিমাণ লোকসানের মুখে পড়বেন তারা। মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে বলা হয়, হাইকোর্টের তরফে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে তা ৯ নভেম্বর এনজিটির নির্দেশিকা মেনে সংশোধন করা যেতে পারে। যে নির্দেশিকা তেলেঙ্গানা রাজ্যের জন্যও প্রযোজ্য।

আরও পড়ুন:উধাও দেশপ্রেম, চায়না আলোয় ডুবেছে শহর 

প্রসঙ্গত, বাজি পোড়ানোর বিরুদ্ধে এক জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে তেলেঙ্গানা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয় অবিলম্বে সমস্ত বাজির দোকান বন্ধ করার। শুধু তাই নয়, দীপাবলি উপলক্ষে রাজ্যে কোথাও বাজি ফাটানো যাবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে এই নির্দেশিকা জারি করা হয় আদালতের তরফ। তবে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় বাজি প্রস্তুতকারী সংগঠন।

অন্যদিকে, তেলেঙ্গানা অনুমতি মিললেও বঙ্গে মিলছে না অনুমতি। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল আগেই। তার বিরুদ্ধে গিয়ে শীর্ষ আদালতে ‘স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন’ দায়ের করার আর্জি জানিয়েছিলেন বাজি ব্যবসায়ীদের একাংশ। বুধবার সে আর্জি খারিজ করে দেন বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

Previous articleউধাও দেশপ্রেম, চায়না আলোয় ডুবেছে শহর 
Next articleসোমেন নেই, আমহার্স্ট স্ট্রিটের পুজোয় শিখা-রোহন