উধাও দেশপ্রেম, চায়না আলোয় ডুবেছে শহর 

গত জুন মাসে, গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বিনা প্ররোচনায় ভারতীয় সেনাদের উপর হামলা চালায় চিনা সৈন্যরা। শহিদ হন দেশের ২০ জন বীর জওয়ান।
লাদাখে চিন যেদিন থেকে সমস্যা তৈরি করছিল, তখন থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল ‘বয়কট চিন’ কর্মসূচি। তখন একটাই স্লোগান- ‘চিনের জিনিস চাই না। বয়কট চিনা প্রোডাক্ট।’ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পোড়ানো হয় চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের কুশপুতুল ও ছবিও।

আরও পড়ুন : বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাজি না পোড়ানোর আর্জি করোনা কালীর

তবে বিশেষজ্ঞরা তখনই বলেছিলেন, এই বিক্ষোভের সম্পূর্ণটাই, আবেগের জায়গা থেকে করা। বাস্তবে হঠাত করেই সমস্ত চিনা দ্রব্য বয়কট করা ভারতবাসীর পক্ষে সম্ভব নয়। আর সেই কথাটা যে কতটা সত্যি, তার প্রমাণ মিলছে হাতেনাতে।

গালোয়ানের ঘটনা, কয়েকমাসেই স্মৃতি। দীপাবলি আগত। তাই অবশ্যই বাড়ি সাজাতে হবে আলো দিয়ে। তবে তার জন্য মাটির প্রদীপ নেহাতই ফিকে। চাই চায়না লাইট। বাজারে দেদার বিকোচ্ছে চায়না বাতি। কোনওটার দাম ২০ টাকা, কোনওটার আবার ২২০ টাকা। প্লাস্টিকের তৈরি বৈদ্যুতিন মোমবাতি এবারে বিশেষ চমক। তার দাম দশ টাকা। ৩০ ফুটের মিনিয়েচার আলোর দাম ২২০ টাকা। এছাড়াও বিভিন্ন স্টিক লাইট, স্টার লাইট তো রয়েছেই।

একইবাজারে মাটির প্রদীপের দোকান অনেকটাই খালি। খদ্দের টানতে ডিজাইনার প্রদীপকেও রঙ করে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছেন বিক্রেতারা। কিন্তু মাটির প্রদীপ কিনতে ক্রেতাদের বড্ড অনীহা। মোমবাতির দোকানেও খদ্দেরের দেখা নেই। অনেক মোমবাতি বিক্রেতাই দোকানে চায়না বাতি বিক্রি করছেন তাই। এক বিক্রেতা জানালেন, মোমবাতির থেকে চায়না বাতির চাহিদা অনেক বেশি। লোকে যা কিনবে, আমরা তো সেটাই দোকানে রাখা হবে।

আরও পড়ুন : কালীপুজোর রাতে নিয়মের কড়াকড়ি দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দিরে

তাঁদের সম্পূর্ণ দোষ দেওয়া যায়না। বিক্রেতারা তো নিজেদের লাভ দেখবেনই। কিন্তু যে সকল মানুষ, কয়েকমাস আগে বয়কট চায়নার ডাক দিচ্ছিলেন, দীপাবলি মুখে তাঁদের দেশ প্রেম কোথায় উধাও হল, তা জানতে বড় উৎসুক হচ্ছে মন।

Previous articleকেষ্টর ঠাকুরে ১৫ কোটির গয়না! দিলীপ বললেন, মাকে ঘুষ দিয়ে বাঁচা যাবে না
Next articleবঙ্গে নিষিদ্ধ, বাজি পোড়ানোয় তেলেঙ্গানা পেল দু’ঘণ্টার ‘সুপ্রিম ছাড়পত্র’