সোমেন নেই, আমহার্স্ট স্ট্রিটের পুজোয় শিখা-রোহন

আমহার্স্ট স্ট্রিটের পুজো মানেই সোমেন মিত্র। ভাবাই যায় না সোমেনবিহীন এই পুজো। ‘ছোড়দা’কে ছাড়া সেই পুজো প্যান্ডেলে এসে চোখের জল তাই বাধা মানল না সোমেন-জায়া শিখার। সাক্ষী রইল আলোর রোশনাইয়ে মেতে থাকা শহর কলকাতা।

প্রত্যেকবার আমহার্স্ট স্ট্রিট কালী পুজোর মধ্যমণি সোমেন মিত্র। কয়েক দশক দেখেছে কলকাতা। কলকাতা জানে সাদা পাঞ্জাবী-ধুতি-চটির মানুষটার পুজো এটা। কে আসেননি এই পুজোয়? সোমেন চলে যাওয়ার পর সাড়ে তিন মাস পেরোয়নি… যেন এই তো আসবেন ছোড়দা!

২০২০-র এই পুজোয় শুধুই শূন্যতা। শুক্রবার সন্ধ্যায় আলো ছিল, ফুল ছিল, প্রদীপ জ্বলেছে। কিন্তু সোমেন হারানোর স্মৃতি নিয়ে যেন দাঁড়িয়ে ছিল পুজো প্রাঙ্গন। প্যান্ডেলে সোমেনকে নিয়ে ফটোর কোলাজ, প্রদর্শনী যে অতীতে প্রবেশ করে স্মৃতি মেদুর করেছে স্মৃতির স্মরণিকে।

আগেই প্রতিমার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন প্রদীপ ভট্টাচার্য। উদ্যোক্তারা শিখা-রোহনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বারবার অনুরোধ করেছিলেন আসার জন্য। সোমেনের নামেই যে পুজো, সেই পুজোয় শিখা আসবেন না তা হয় নাকি। তাঁকে দেখে বেরিয়ে আসেন এলাকার মানুষ। আবেগ ধরে রাখতে পারেননি শিখা। আর একটু দূরে সোমেনের অভিন্ন হৃদয় বাল্যবন্ধু বাদল ভট্টাচার্য। গোটা পরিবেশে বিহ্বল বাদল। অনুভবে পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ। চোখের কোন চিকচিক।

‘সোমেনদার’ এই পুজোয় আসেন প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ। এবারও তিনি ছিলেন শিখা-রোহন-বাদলের সঙ্গে। অতীতের স্মৃতি হাতড়ে তিনিও বলছেন, বড্ড খারাপ লাগছে। এ মন খারাপের কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারব না।

আরও পড়ুন- বঙ্গে নিষিদ্ধ, বাজি পোড়ানোয় তেলেঙ্গানা পেল দু’ঘণ্টার ‘সুপ্রিম ছাড়পত্র’

Previous articleবঙ্গে নিষিদ্ধ, বাজি পোড়ানোয় তেলেঙ্গানা পেল দু’ঘণ্টার ‘সুপ্রিম ছাড়পত্র’
Next articleপদত্যাগ বিতর্কের পরদিনই বেচারামের মুখে মাস্টারমশাইয়ের নাম!