নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তৃত্ব নয়, দিল্লির প্রস্তাব খারিজ নবান্নের

একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই তেতে রয়েছে রাজ্য রাজনীতি। আসন্ন নির্বাচন প্রশাসনিক স্তরেও চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি পর্ব। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তৃত্ব বৃদ্ধি নিয়ে নবান্নকে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে সে প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করল রাজ্য সরকার।

রাজ্যে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাজ্য পুলিশ যেমন চাওয়া হয় তেমনি প্রয়োজন পড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর। নির্বাচন সামাল দিতে ঠিক কতখানি রাজ্য পুলিশের প্রয়োজন পড়বে এবং কতটা কেন্দ্রীয় বাহিনীর তা ঠিক করে নির্বাচন কমিশন। সাধারণভাবে ভোটের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি অনেকাংশে নির্ভর করে রাজ্য পুলিশ কর্তাদের উপরেই। সূত্রের খবর কেন্দ্র এখন চাইছে সেই নিয়ন্ত্রণ আসুক কেন্দ্রীয় বাহিনীর কমান্ডার হাতে। এই মর্মে সরকারকে প্রস্তাব দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তবে নিজেদের অবস্থান এবং আপত্তি কেন্দ্রকে জানিয়ে প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার।

জানা যায়, কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠিক কত পরিমাণে আসবে এবং কোথায় কোথায় তাদের মোতায়েন করা হবে তা নির্বাচন কমিশন ঠিক করলেও বাস্তবে গোটা বিষয়টি দায়িত্বে থাকে রাজ্য পুলিশ আধিকারিকরা। অন্যতম কারণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর রাজ্য সম্পর্কে এবং এলাকা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারনা থাকে না। ফলস্বরূপ যেখানে ভোট হচ্ছে সেখানকার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি নির্ণয় করে দেয় রাজ্য পুলিশ কর্তারা। অবশ্য তার ওপর নজরদারি থাকে কমিশনের। পুলিশ কর্তাদের অনুমান এই চিরাচরিত রীতি এবার বদলানোর প্রস্তাব দিয়েছিল নয়াদিল্লি। তাদের প্রস্তাব অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিবিধি আর রাজ্য পুলিশের ওপর কোনও ভাবেই নির্ভর করবে না। বরং কমান্ডারদের সিদ্ধান্তই এক্ষেত্রে চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। তবে কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ কোনওভাবেই মানতে রাজি নয় রাজ্য সরকার। তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে এদিন।

আরও পড়ুন:অজানা সৌমিত্র: ফিরে দেখা কিংবদন্তি অভিনেতার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

এ প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশ কর্তাদেরও বক্তব্য, সাংবিধানিকভাবে আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। সেখানে বাইরের বাহিনী নিজেদের সিদ্ধান্তে কাজ করতে পারে না। তাছাড়া এলাকার পরিস্থিতি, সেখানকার ভাষা সবটাই রাজ্য পুলিশের নখদর্পণে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ যেভাবে ব্যবস্থা নিতে পারবে কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনওভাবেই তা পারবে না।

Previous articleএতক্ষণে সেই আড্ডা হয়তো শুরু হয়ে গিয়েছে, কণাদ দাশগুপ্তর কলম
Next articleসৌমিত্রর শেষযাত্রা…