শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদকে ঢুকতে বাধার অভিযোগ, ক্ষোভপ্রকাশ রাজ্যপালের

ফের টুইট অস্ত্র ব্যবহার করে রাজ্য সরকার ও পুলিশের কড়া সমালোচনায় সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এবার
শহিদ সুবোধ ঘোষকে সামনে রেখে পুলিশকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যপাল। শহিদ সুবোধ ঘোষের অন্ত্যেষ্টিতে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে প্রবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পরপর টুইটে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ধনকড়।

ওই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করেন রাজ্যপাল। ধনকড়ের অভিযোগ, একদিকে যখন স্বাগত জানানো হচ্ছে শাসক দলের সাংসদকে। অন্যদিকে বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ব্যবহার করছে রাজ্যের পুলিশ। এই ঘটনা পুলিশকর্তাদের কর্তব্যচ্যুতি ও দ্বিচারিতা।

টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়ে রাজ্যপাল লিখেছেন, “বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার পুলিশকর্তাদের কর্তব্য বিচ্যুতি। শাসক দলের সাংসদ অতিথি আর বিরোধী সাংসদ হলেই অনাহূত!”

প্রসঙ্গত, দীপাবলির ঠিক আগে ভারতে হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান। আর সেই মতো জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারত বনাম পাকিস্তানের সেনার মধ্যে চরম যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভারতে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা নিয়ে উরি, দাওয়ার, নওগাঁও, তাংধার, সৌজিয়ান, কেরান, মাচিল, গুরেজ- একের পর এক সেক্টর জুড়ে শুরু হয় নিরন্তর গুলির লড়াই। আর তাতেই সুদূর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় পাক সেনার গুলিতে শহিদ হয়েছেন গ্রামের ছেলে সুবোধ ঘোষ। গ্রামের ছেলের মৃত্যুর খবর আসতেই শোকস্তব্ধ হয়ে ওঠে রঘুনাথপুর গ্রাম।

এরপর তাঁর অন্ত্যেষ্টিতে তৈরি হয় এক নাটকীয় ও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি। বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানিয়েছেন, “জনসমক্ষেই পুলিশ আমাকে ঢুকতে বাধা দেয়। অপমান করে। ভীষণই লজ্জাজনক ঘটনা।”

তবে রাজ্য সরকারের তরফে বিজেপি সাংসদের অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে দাবি করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং নদীয়া জেলা প্রশাসনের তরফেও এই বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করা না হলেও জেলা প্রশাসনের এক উচ্চ আধিকারিকের জানিয়েছেন, এটা সামান্য ভুল বোঝাবুঝি ছাড়া কিছুই নয়। একটা রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:বাম-কংগ্রেস হাত মিলিয়েছে, তাই সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় কাউন্সিলর

Previous articleআমূল থেকে ক্যাডবেরি- বিজ্ঞাপনী পোস্টারে শ্রদ্ধা কিংবদন্তিকে
Next articleকোনও সুরক্ষা বলয় ছাড়াই জৌলুসহীন আইএফএ শিল্ড! হেলদোল নেই কর্তাদের