নামে মুসলিমদের প্রতিনিধি, মিম বিজেপির দালাল! দাবি অধীরের

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, তাঁর জন্যই আসলে বিহারেববিজেপিকে পরাস্ত করে ক্ষমতায় আসতে পারিনি লালুপ্রসাদের পুত্র তেজস্বী যাদব। সংখ্যালঘুদের ভোট কেটে লন্ডভন্ড করে দিয়েছেন মিম শীর্ষনেতা আসাউদ্দিন ওয়াইসি। গত কয়েক বছরে মিমের অ্যাক্টিভিটি প্রমাণ করে, প্রকৃত অর্থে অমিত শাহের নির্দেশেই সংখ্যালঘু ভোট ভাগ কড়াই সিদ্ধহস্ত মিম। এবার সেই কাজটি করতে বাংলায় আসছে তারা। এমনই অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর কটাক্ষ, “আগেও বলেছি, মিম ভোট কাটুয়া পার্টি”।

বিহারে ২০টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল মিম। ৫টি আসনে জিতেছে তারা। বাংলায় বিধানসভা ভোটেও প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন আসাউদ্দিন ওয়াইসি। তাতেই আতঙ্কে ভুগছে বিজেপি বিরোধীরা। সকলের আশঙ্কা, ভোট ভাগ করে বিজেপির সুবিধা করে দিতে পারে মিম। বিশেষ করে, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহে মিম প্রার্থী দিলে ধাক্কা খেতে পারে কংগ্রেস। এ দিন অধীর চৌধুরী বলেন, ”এই মিম হায়দরাবাদের পার্টি। তেলেঙ্গানায় বড়জোর ১৩-১৪টি বিধানসভায় লড়ে। আর কোথাও প্রার্থী দেয় না। কেরলে লড়বে না, অসমে লড়বে না, বাংলায় লড়বে। কারণ, বাংলায় বিজেপির দরকার। সুতরাং, মিম আসলে মুসলিমদের প্রতিনিধি নয়, বিজেপির দালাল”।

আরও পড়ুন- রাজ্যে বিজেপি-তৃণমূল “গট আপ” চলছে! তথ্য দিয়ে অভিযোগ বিমানের

মিম প্রসঙ্গে অধীর আরও বলেন, ”এই মিম মুসলিমদের অধিকার নিয়ে কথা বলে বলে দাবি করে। সিএএ-এআরসি নিয়ে নাকি সবচেয়ে বেশি আন্দোলন করেছে। সংসদের রেকর্ড দেখুন, সিএএ নিয়ে সবার আগে বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। তৃণমূল পাশ করাতে সাহায্য করেছিল। আমরা বিরোধিতা করেছি। শাহিনবাগের বিক্ষোভে সব ধর্মের মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। মিমের নেতারা তখন কোথায় ছিল? একবারও কি গিয়েছিলেন? হঠাৎ এখানে এসেছে কেন? অমিত শাহের নির্দেশই এসব করছে তারা।”

অন্যদিকে এদিন বাম-কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক প্রসঙ্গে অধীর বলেন, জোট ক্রমশ বাংলায় একটা শক্তিশালী ফোর্সে পরিণত হচ্ছে। সেই কারণে জোট ভাঙার কথা বলা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। যদিও একাধিক কংগ্রেস বিধায়কের দল ছাড়া প্রসঙ্গে অস্বস্তি এড়িয়ে অধীর চৌধুরী বলেন, “কোনও নেতা দল থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন, এতে আমাদের দলের মানচিত্রে কোন অসুবিধা হবে না। কারণ তৃণমূল স্তরে কর্মীরাই আমাদের দলের সম্পদ। তাঁরাই লড়াই করে নেতা বানান!”

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আরও বলেন, “লাগাতার দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি-সহ একাধিক ইস্যুতে আমরা জেলায় জেলায় আন্দোলন শুরু করবো।”

Previous articleরাজ্যে বিজেপি-তৃণমূল “গট আপ” চলছে! তথ্য দিয়ে অভিযোগ বিমানের
Next articleহাওড়ার শিবপুরে প্রকাশ্যে শ্যুটআউট, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত