Big Breaking: দৌত্য ভেস্তে গেল, তৃণমূল ছাড়ার পথেই শুভেন্দু

তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পথেই যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সরাসরি যোগ দেবেন বিজেপিতে।
আপাতত শুভেন্দুর শ্লোগান হবে, মানুষের কাজ করতে পদ লাগে না।
নিরাপত্তা দেবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

এসব হবে কবে?
আজ বৃহস্পতিবার রামনগরের সভা থেকে ‘উত্তাপ’ ছড়াবেন শুভেন্দু।
কিন্তু বড় ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা কম।

সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত যা পরিকল্পনা, আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিত্ব ছাড়বেন শুভেন্দু।
আর তাঁর বিজেপিতে যোগদান নির্ভর করবে অমিত শাহের তারিখের উপর।
শুভেন্দুকে যোগদান করাবেন অমিত।

এর মধ্যে 24 নভেম্বর বা তার পরে শুভেন্দুকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ারও পরিকল্পনা হচ্ছে।
এমনও হতে পারে যে প্রধানমন্ত্রী কথা বলবেন শুভেন্দুর সঙ্গে। দিল্লিতেই যোগদানপর্ব হবে। তবে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত তা পরিষ্কার নয়।

জানা গেছে, তৃণমূলের দৌত্য ব্যর্থ হয়েছে। দল যাদের দূত ঠিক করেছিল, তাঁদের মধ্যে একজন তো নিজেই শুভেন্দুর সঙ্গে বসে দলের সমালোচনায় ব্যস্ত থাকতেন। অপূর্ব দূত নির্বাচন। কে যে কার হয়ে কথা বলেছে, সেটাই স্পষ্ট নয়। নিট ফল হল শুভেন্দু এখন তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ব্যস্ত।

এদিকে যতই দৌত্য চলুক, শুভেন্দু যাচ্ছেন ধরে নিয়ে তৃণমূলও তাদের সাংগঠনিক প্রস্তুতি তৈরি রাখছে।
একটি শিবির চাইছে দল আগাম ব্যবস্থা নিক।
অন্য শিবির বলছে, না, শুভেন্দু যা করছে করতে দেওয়া হোক। তারপর ব্যবস্থা।

এদিকে, একাধিক জেলা থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে কিছু নেতা শুভেন্দুর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বস্তুত, যাঁদের এলাকায় বিজেপি একটু শক্তিশালী বা যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে ক্ষুব্ধ, তাঁরা এখন শুভেন্দুর দিকে হাত বাড়াচ্ছেন। তাতে শুধু বিধায়ক নন, পুরপিতা, সাংগঠনিক পদাধিকারীরাও আছেন।

আজ বৃহস্পতিবার রামনগরের সভা থেকে হয়ত বড় ঘোষণা করবেন না শুভেন্দু।
কিন্তু তাঁর বক্তব্যের মেজাজ থেকেই পথটা বোঝা যাবে।

তাহলে কি এখন আর শুভেন্দুর তৃণমূলে থাকার কোনো সম্ভাবনা নেই?
রাজনীতিতে শেষকথা বলে কিছু হয় না। কখন কোন্ সমীকরণ ঘুরে যায় তার ঠিক নেই। ফলে এই বিষয়টা একেবারে অতীত, তা বলা এখনও ঠিক হবে না।

শুভেন্দু সত্যিই যদি যান, তাহলে তার পেছনের আসল কারণ কী? রাজনৈতিক কারণ না কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির কারণ, এনিয়ে জল্পনা চলছে।

এদিকে সূত্রের খবর, শুভেন্দু বিজেপিতে গেলে তিনটি বিষয় মানতে বিজেপি তৈরি।
কোনোরকম তদন্তে শুভেন্দুকে বিব্রত করা হবে না। শুভেন্দুর অন্তত 56জন প্রার্থী মনোনয়ন পাবেন। এবং যদি বিজেপি ক্ষমতায় আসে, শুভেন্দুই মুখ হবেন। দিল্লির খবর, বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব এই তিনটি বিষয়ে মনস্থির করে ফেলেছেন।

একটি মহল বলছে, শুভেন্দু হয়ত আরেকটু সময় নিতে পারেন। অন্তত জানুয়ারি পর্যন্ত। কিন্তু বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব এখনই বিষয়টির উপসংহার চান। কারণ শুভেন্দুর বিষয়টির ফয়সালা না হলে তাঁরা দুটি মামলায় এজেন্সিকে পুরোপুরি নামাতে পারবেন না।

বিজেপিতে গেলে শুভেন্দু কি বড় পদ পাবেন?
সূত্র বলছে, শুভেন্দু ভোট পর্যন্ত কোনো পদ নিতে রাজি নন। তাঁর চোখ আরও পরে এবং আরও বড়। ফলে সাংগঠনিক কোনো পদে শুভেন্দু এখন নিজেকে বাঁধতে চান না। যদিও এই বিষয়ে অমিত শাহ তাঁর সঙ্গে পরে কথা বলবেন।

দৌত্যের বৈঠক জলে যাওয়ার পর শুভেন্দু আবার নেমে পড়েছেন তাঁর টিম তৈরির কাজে।
অন্যদিকে তৃণমূল নেতৃত্ব এখনও সব দরজা খোলা রেখেই সবরকম পরিস্থিতির জন্য ঘুঁটি সাজাচ্ছে।

তবুও, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত যা খবর, তাতে নতুন দলে নতুন ইনিংসের অপেক্ষায় শুভেন্দু।
তৃণমূল কংগ্রেস এবং বাংলার রাজনীতিতে এক নাটকীয় কাণ্ডকারখানার সম্ভাবনা।

দাদার অনুগামীদের বক্তব্য, ধস্ নামবে তৃণমূলে।
তৃণমূলপন্থীদের কথায়, একার লড়াই কই, এ তো অন্য দলের জোরে দলবদল। এবার বোঝা যাবে প্রতীকের জোর।

এখন দেখার, শুভেন্দু আজ কতটা ‘হাইপ’ তোলেন। নাকি এখনও খেলা ঝুলন্ত রাখা হবে কিছুদিন। সবদিকের সব আলোচনা কি শেষ? নাকি কিছু বাকি? বোঝা যাবে আজ। অন্তত ইঙ্গিত মিলবে তো বটেই।

আরও পড়ুন- লক্ষ্য উত্তরকন্যা অভিযান, উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার প্রচারের নির্দেশ মালব্যের

 

Previous articleব্রেকফাস্ট নিউজ
Next articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস