লক্ষ্য উত্তরকন্যা অভিযান, উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার অভিযোগে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার প্রচারের নির্দেশ মালব্যের

কিশোর সাহা

নবান্নের পরে এবার উত্তরকন্যা। সব ঠিক থাকলে আগামী ৮ ডিসেম্বর শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গের সচিবালয় উত্তরকন্যা অভিযান করবে বিজেপি। সে জন্য দলের জেলা থেকে বুথ স্তরের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে সোশাল মিডিয়ায় উত্তরবঙ্গের মানুষের যে সব ব্যাপারে ক্ষোভ ও বঞ্চনার অবিযোগ রয়েছে তা লাগাতার প্রচারে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার, শিলিগুড়িতে দলীয় বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতা অমিত মালব্য ওই নির্দেশ দিয়ে তা কীভাবে কার্যকর করতে হবে তার প্রাথমিক খসড়াও করে দিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর।

মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য কমিটির তরফে তা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার শিলিগুড়িতে দলের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক সায়ন্তন বসু জানান, আগামী ৮ ডিসেম্বর উত্তরকন্যা অভিযান হবে। সে জন্য প্রচার ও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেই কাজে ডিজিটিল মাধ্যমকে জোরদার ব্যবহারের কাজও চলছে।

সায়ন্তন জানান, ডিজিটাল মাধ্যমকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে অমিত মালব্যের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। তাই তিনিও উত্তরবঙ্গ সফর শুরু করেছেন। অমিত মালব্যের অভিজ্ঞতা যে উত্তরবঙ্গের নানা বঞ্চনা ও ক্ষোভের অভিযোগকে সামনে রেখে প্রচারের কাজে অনেক গতি আনবে তা স্থানীয় বিজেপি নেতারাও জানিয়েছেন।

বিজেপির অন্দরের খবর, এদিন শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি ভবনে সায়ন্তন বসু, শিউ প্রকাশজিকে নিয়ে বৈঠক করেন অমিত মালব্য। পরে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার সহ নানা এলাকার প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে দলের নেতাদের কথাবার্তা শোনার পরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা মূলত উত্তরবঙ্গের মানুষ যে সব ব্যাপারে নিজেদের আজও বঞ্চিত মনে করেন সেটাই লাগাতার প্রচারে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে আরও বেশি করে ব্যবহারের পরামর্শও দিয়েছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

দলীয় সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গে এইমস কেন হয়নি, আজও কেন উত্তরবঙ্গে কোনও আইডি হাসপাতাল হয়নি, সে সব প্রশ্ন আরও বেশি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের উত্তরবঙ্গের পর্যবেক্ষক অভিযোগ, উত্তরবঙ্গের মানুষ আজও নিজেদের বঞ্চিত মনে করেন। সে জন্যই তাঁরা লাগাতার ওই সব বিষয় প্রচারে রাখবেন।

তবে তৃণমূল এবং সিপিএমের উত্তরবঙ্গের নেতারা অনেকেই জানান, বিজেপি গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ থেকে ৭ জন সাংসদ নেওয়ার পরে আজও কেন এইমস করতে পারেনি সেটার জবাব ওদেরই দিতে হবে। এতদিনে কেন একটা আইআইটি উত্তরবঙ্গে হল না, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হল না কেন সেটার জবাব বিজেপি নেতাদেরও এবার দিতে হবে বলে জানান তাঁরা।

আরও পড়ুন- ছট পুজোর জন্য ১৬টি কৃত্রিম জলাশয়ের ব্যবস্থা কলকাতা পুরসভার

Previous articleএবার ওয়েব সিরিজে অভিষেক হতে চলেছে সানিয়া মির্জার
Next articleকোভিড পিছু ছাড়ছে না, শুক্রবার শুরু আইএসএল