সমস্যা কাটিয়ে কাকাকে সঙ্গী করেই যোগীকে হারাতে তৈরি অখিলেশ

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ও বিএসপির সঙ্গে অখিলেশ যাদব যে জোট করছেন না সেকথা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এর পেছনে অন্যতম কারণ অবশ্যই বিহার নির্বাচনের ফলাফল। তবে মহাজোটের অংকে না গেলেও অন্য ছকে উত্তরপ্রদেশের খেলা ঘোরাতে তৈরি হয়ে উঠেছেন অখিলেশ যাদব। তাঁর লক্ষ্য কাকা শিবপাল যাদবের সঙ্গে সন্ধি করে উত্তরপ্রদেশের মসনদ থেকে যোগীর অপসারণ। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সমাজবাদী পার্টি। উত্তর প্রদেশ রাজনীতিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এমনটাই।

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের সাতটি উপনির্বাচনে মাত্র একটি আসনে জয় পেয়েছে সমাজবাদী পার্টি বাকি ছয়টি আসন নিজেদের দখলে নিয়েছে বিজেপি। নিশ্চিত ভাবেই এই ফলাফল বিরোধীদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক। তবে ভেঙে না পড়ে ফের ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া উত্তরপ্রদেশের বিরোধী শিবির। অন্তর্দ্বন্দ্ব কাটিয়ে ২০১৭ সালের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার কাকার সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়তে চান অখিলেশ। সমাজবাদী পার্টির আশা এর জেরে আখেরে লাভবান হবে দল। শিবপাল যাদবের প্রগতিশীল সমাজবাদী পার্টি ও অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি যদি একত্রিত হয় সে ক্ষেত্রে যাদব ভোটব্যাঙ্ক এক ছাতার তলায় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কাকা ভাইপোর মধ্যে সমস্যার জেরে যে ক্ষতি হয়েছিল তা কিছুটা সামলে ওঠা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর পাশাপাশি ভোটের অংকে মুসলিম ভোটের দিকেও বাড়তি নজর রয়েছে সমাজবাদী পার্টির। এক্ষেত্রে সমাজবাদী পার্টির আশা কংগ্রেসের রাহুল প্রিয়াঙ্কা উত্তরপ্রদেশের মুল রাজনীতি থেকে অনেকটাই দূরে সরেছেন। ফলে মুসলিম ভোটকে একজোট করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। পাশাপাশি মায়াবতীর দল বিএসপিকে বিজেপির বি টিম হিসেবে প্রচার শুরু করেছেন অখিলেশ। সাম্প্রতিক সময়ে বিএসপির দুজন শীর্ষ নেতা দানিশ আলি এবং মানকর আলিকে দল থেকে সরিয়ে দেওয়ায় মায়াবতীর দলকে সন্দেহের চোখে দেখছে সংখ্যালঘু ভোটাররা। ফলে বিজেপির বিকল্প কোনও শক্তি পেলে সেই দলকে পূর্ণ সমর্থন দেবে উত্তরপ্রদেশের মুসলিমরা। এদিক থেকে পুরোপুরি নিশ্চিত সমাজবাদী পার্টি।

আরও পড়ুন:শীর্ষ নেতৃত্বই বোঝাচ্ছেন বঙ্গ-বিজেপি নেহাতই ‘দুধে ভাতে’: কণাদ দাশগুপ্তর কলম

অন্যদিকে আবার ব্রাহ্মণ ভোট নিজেদের দখলে আনতে কোনও রকম কার্পণ্য করছে না মুলায়ম সিং যাদবের পুত্র অখিলেশ যাদব। সাম্প্রতিক সময়ে যোগী আদিত্যনাথের ব্রাহ্মণদের উপর আক্রমণাত্মক নীতি কারণে ব্রাহ্মণ সমাজের বেশিরভাগ মানুষই বিজেপির উপর রীতিমতো ক্ষুব্ধ। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে ২০২২ সালের ভোটযুদ্ধে এখন থেকেই অস্ত্র শানাতে শুরু করে দিয়েছে অখিলেশের নেতৃত্বাধীন সমাজবাদী পার্টি।

Previous articleশুভেন্দুর নামের হোর্ডিং নিয়ে ভ্যান ঘুরছে শিলিগুড়িতে
Next articleবহিরাগত ইস্যু নিয়ে ব্রাত্য-দিলীপ তরজায় যেন ভোটের গরম হাওয়া