বহিরাগত ইস্যু নিয়ে ব্রাত্য-দিলীপ তরজায় যেন ভোটের গরম হাওয়া

দুই সদর দফতর থেকে একে অন্যের বিরুদ্ধে তীর ছুড়লেন। তৃণমূলের সদর দফতর তোপসিয়ায় রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, আর মুরলী ধর সেন লেনের দফতর থেকে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ব্রাত্য বললেন, রাজ্যে চলছে বহিরাগতদের তাণ্ডব। আর দিলীপ বললেন, সুজাপুরের ঘটনায় প্রমাণিত হচ্ছে বারুদের স্তূপের উপর রয়েছে রাজ্য। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পিছনে আসল রহস্য কী, তা জানতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দরকার রয়েছে।

ব্রাত্য এদিন তৃণমূল ভবনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাংলার নেতাদের ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চায় না বিজেপি। তাই পাঁচজন অবাঙালিকে এনে রাজ্যের মাথায় এনে বসিয়েছে। আমরা তো বাঙালি-অবাঙালি ভেদে সকলকে নিয়ে থাকতে চাই। কিন্তু ওরা কোথায় ভরসা করছে? উত্তরপ্রদেশ-গুজরাতে একজন বাঙালি নেতা নেই কেন? ব্রাত্য আরও এক কদম এগিয়ে বলেন, রাম মন্দিরের ভিতর অনেকগুলি মন্দির আছে। কিন্তু সেখানে হরিচাঁদ-গুরুচাঁদের মন্দির নেই কেন? বাঙালি বলে উপেক্ষা? এটাই তো ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই রাজ্য সরকার মতুয়াদের জন্য কলেজ-বিশ্ববদ্যালয় সহ নানা সুবিধা তৈরি করেছে। আর মতুয়াদের মন পেতে বিজেপি মতুয়াদের জন্য মন্দির তৈরি করতে চাইছে। মন্দির তো এখানে আছে। মতুয়া প্রেম যদি এতটাই, তাহলে গুজরাত, উত্তরপ্রদেশে যাও না! মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ববাংলা তৈরি করছেন। আর তাকে সংকীর্ণতায় মুড়ছে!

দিলীপ পাল্টা বলেন, আমরা আমাদের দলের লোকদের নিয়ে কাজ করছি। তৃণমূল বলুক, পিকে বহিরাগত না দলের? তার কথাতেই দল চলছে। তার বিরুদ্ধেই ক্ষিপ্ত দলের বহু নেতা। কই আমাদের দলে তো তা নয়! সুজাপুর নিয়ে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চেয়ে দিলীপ দলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র রাষ্ট্রপতি শাসন চাওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, রাজ্যে যেভাবে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে, শেষকৃত্যে সামিল হতে গেলে বিজেপি জনপ্রতিনিধিদের মামলা দেওয়া হচ্ছে, তাতে অনেকেই মনে করছেন রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করা হোক।

Previous articleসমস্যা কাটিয়ে কাকাকে সঙ্গী করেই যোগীকে হারাতে তৈরি অখিলেশ
Next articleঅসমে বিজেপি জোট ছাড়ছে শরিক বোড়োল্যান্ড পিপল’স ফ্রন্ট