রবীন্দ্র সরোবরে জোর করে ঢোকার চেষ্টা, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাতাহাতি

ছটপুজোকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই উত্তেজনা রবীন্দ্র সরোবর লেকে। রবীন্দ্র সরোবরের তিন নম্বর গেট দিয়ে ঢোকার চেষ্টাকে ঘিরে ব্যাপক গোলমাল। আজ, বালিগঞ্জ থেকে লেক গার্ডেন্স যাওয়ার পথে রবীন্দ্র সরোবর লেকের তিন নম্বর গেট দিয়ে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন জনাকয়েক ব্যক্তি। ওই বহিরাগতরা ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা বাঁধে।

পরিবেশ আদালতের নির্দেশের পর কলকাতা হাইকোর্টও নির্দেশ জারি করে জানিয়ে দেয়, রবীন্দ্র সরোবরে কোনওভাবেই যাতে ছটপুজো না হয়। সেইমতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় প্রশাসনের পক্ষে। বড় বড় তিন দিয়ে উঁচু করে ফেন্সিং করা হয়। প্রতিটি গেটেই মোতায়েন করা হয় পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষী।

কিন্তু একদল মানুষ রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করতে দিতে হবে বলে দাবি জানায়। তাঁদের বক্তব্য, বছরের পর পর এখানেই পুজো করছেন তাঁরা। তাঁদের পূর্বপুরুষরাও এখানে পুজো করেছেন। এভাবে তাঁদের অধিকার কেড়ে নেওয়া যাবে না।

বাধা দিলে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা বেঁধে যায়, যা হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। তবে কেউ ভেতরে ঢুকতে পারেননি। লেক গার্ডেন স্টেশন আরপিএফ ঘিরে রেখেছে। সেই পথ দিয়ে যাতে কেউ সরোবরে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্যই এই ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবকে মান্যতা: ‘সামাজিক’-এর বদলে শারীরিক দূরত্ব

অন্যদিকে, আদালতের নির্দেশ মেনে সুভাষ সরোবরের সবকটি গেটে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। সরোবরের ভিতরেও পুলিশ পেট্রোল ভ্যানের টহলদারি চলছে।

Previous articleমুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবকে মান্যতা: ‘সামাজিক’-এর বদলে শারীরিক দূরত্ব
Next articleবিজেপিকে রুখতে মহাজোটের ডাক আব্বাসের, ক্ষমতায় তৃণমূলই: মত ত্বহার