৮৫ বছরের বৃদ্ধকে ১২ বছরের শিশুর সঙ্গে বিয়ে দিলেন গ্রামের মাতব্বররা

খায়রুল আলম, ঢাকা

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ  বয়রাপাড়া গ্রামে ৮৫ বছর বয়সের বৃদ্ধ মহিউদ্দিনের সঙ্গে ১২ বছরের এক শিশুর বিয়ে দিয়েছেন গ্রাম্য মাতবররা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, গ্রাম্য সালিশি সভায়  ওই বৃদ্ধের নাতি শাহিনের (১৮) অপরাধের দায়ভার দাদার ওপর চাপানো হয়েছে। গ্রাম্য সালিশে বৃদ্ধ মহিউদ্দিনকে ১০ ঘা মেরে তার সঙ্গে শিশুটির বিয়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানায়, ভুক্তভোগী শিশুটি স্থানীয় কওমী মাদ্রাসার পঞ্চম শেণির ছাত্রী। একই গ্রামের বৃদ্ধ মহিউদ্দিনের নাতী শাহিনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শাহীনের ধর্ষণে শিশুটি গর্ভবতী হয়ে পরে।

গত ১০-১৫ দিন আগে তার গর্ভপাতও ঘটানো হয়। কিন্তু বিষয়টি ফাঁস হলে স্থানীয় মাতবররা সালিশি সভায়  নাতি শাহিনের অপরাধের দায় ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মহিউদ্দিনের ওপর চাপিয়ে দেন।

মহিরের প্রতিবেশীরা জানান, বৃদ্ধ মহিউদ্দিনের প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী মারা গেছে। তৃতীয় বিয়ে করেছেন ২৭ বছর আগে। শিশুটি তার চতুর্থ স্ত্রী। তিনি ৭ সন্তানের জনক। মহির এখন ঠিকমত কথাও বলতে পারেন না, দৃষ্টিও ঝাপসা। ১২ বছর বয়সী চতুর্থ স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চরম বিপাকে পড়েছেন।

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বৃদ্ধ মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমি নির্দোষ। গ্রামের মাতবররা এই বুড়ো বয়সে আমার গলায় মরণকাঠি ঝুলিয়ে দিয়েছে।’

সালিশের অন্যতম মাতবর স্থানীয় ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন নাদু  জানান, শিশুটির জবানবন্দির ভিত্তিতে বৃদ্ধ মহিউদ্দিনকে ১০ ঘা মেরে শরিয়ত মোতাবেক তাদের বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি এনএম মইনুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি আমরা জানি না। কেউ অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Previous articleকর্মীর করোনা সংক্রমণ, ঢাকায় বন্ধ দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাস 
Next articleরোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান: রেজুলেশন পাশ ১৩২ ভোটে, বিরত ছিল ভারত