দিলীপের সঙ্গে কথা হতেই অভিমান গলে জল বৈশাখী-শোভনের!

অবশেষে অভিমান মিটল শোভন-বৈশাখীর। মেটালেন খোদ দিলীপ ঘোষ। আর অভিমানের পালা মেটার পর দিলীপ বললেন, এগুলো কোনও ইস্যু নয়। সমস্যা মিটে যাওয়ার পর প্রশান্তির হাসি ছড়িয়ে বৈশাখী মধ্যাহ্নভোজে দিলীপকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বসলেন।

কী হয়েছিল? যার জন্য শোভন-বৈশাখী আসেননি বিজয়া সম্মিলনীতে? শোভন অভিযোগ করেন, শনিবার বৈশাখীর ফোনে বিজেপি থেকে ফোন যায়। বলা হয়, রবিবার বিজয়া সম্মিলনীতে শোভনবাবুকে আসতে বলবেন। বৈশাখীকে আমন্ত্রণ করা হয়নি। প্রাক্তন মেয়রের এই ব্যবহার বড্ড আঁতে লাগে। তাঁরা কেউই যাবেন না জানিয়ে দেন। এ নিয়ে জলঘোলা হতে থাকে। একটি মহল বলতে থাকে এই জুটিকে যারা অপছন্দ করেন, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজটি করেছেন। যাতে দুদিন আগে মেনন-অমিতাভর শোভনের বাড়িতে সফল দৌত্যে চোনা পড়ে। আর এর পিছনে কেউ কেউ রাজ্য সভাপতির প্রচ্ছন্ন মদতও দেখছিলেন।

বিতর্কের মাঝে পাল্টা দিলীপ বলেন, ওদের ফোন করা হয়েছিল। বোধহয় ফোনটোন ধরেননি। নাছোড় বৈশাখী জানান, এরকম কোনও ফোন তাঁর কাছে আসেনি। কথাটা ঠিক নয়। ফলে বিতর্ক চড়তে থাকে। মতান্তর মেটাতে নামেন মেননরা। আমন্ত্রণের দায়িত্বে ছিলেন সাংস্কৃতিক সেলের অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অবশ্য জানান, ভুলটা তাঁরই হয়েছে। তবে তিনি যা করেছেন তা দলের নির্দেশেই। এরপরই সক্রিয় হন দিলীপ। শোভনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। মেননদের জানান, কিছুতেই ওদের ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। মেনন বোঝেন আসলে দলে একটা লবি বিরোধিতায় নেমেছে, যেখানে সামনে রাখা হচ্ছে দিলীপের নাম। যিনি বিষয়টির মধ্যে জড়িয়েই ছিলেন না! মেনন যোগাযোগ করেন বৈশাখীর সঙ্গে। বলেন, দিলীপদা খুঁজছেন। শুনে দিলীপকে রবিবার রাতে ফোন করেন বৈশাখী। দিলীপ বলেন, দুজনকে বলা হয়নি, আমি জানতামই না। আপনি আসুন দলের কাজে। আর এতেই সব অভিমান শেষ। বৈশাখী জানান, আগামিদিনে দিলীপদার নেতৃত্বেই কাজ করতে মুখিয়ে আছি। শুধু তাই নয়, রাজ্য সভাপতিকে মধ্যাহ্নভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। দিলীপদা আসবেন বলে কথা দিয়েছেন, দাবি বৈশাখীর।

 

Previous articleবঙ্গে সক্রিয় উত্তুরে হাওয়া, নামছে পারদ
Next articleফেসবুক ডটকম ডট বিডি’র দাম ৫১ কোটি টাকা, মামলা বাংলাদেশের আদালতে